রেফারির ভুলেই বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ!

সেই ট্যাকেল আইন বহির্ভূত, তার ওই ট্যাকেল পেনাল্টির শাস্তিযোগ্য। কিন্তু ফিলিপাইনের রেফারি ক্লিফফোর্ড দায়ফুয়াট জানালেন সেটি ফাউল নয়!

একটা ক্লিয়ার পেনাল্টি। ম্যাচের তখন ইনজুরি টাইম চলমান। ৯৩ মিনিটের সময় ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বাম সাইড দিয়ে ঢুকে যান ডি-বক্সের ভেতরে। তাকে আটকে রাখতে হিমশিম খাচ্ছিলেন সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজিব। অগ্যতা তিনি পেছন থেকে একটা স্লাইডিং ট্যাকেল করে বসলেন।

কিন্তু বলের ধারেকাছেও পৌঁছায়নি তার পা। তার সেই ট্যাকেল আইন বহির্ভূত, তার ওই ট্যাকেল পেনাল্টির শাস্তিযোগ্য। কিন্তু ফিলিপাইনের রেফারি ক্লিফফোর্ড দায়ফুয়াট জানালেন সেটি ফাউল নয়, বরং কর্ণার পেয়েছে বাংলাদেশ। ওই একটি ভুলে কারণে বাংলাদেশ হল পয়েন্ট বঞ্চিত। ঘরের মাঠে বহুল আকাঙ্ক্ষিত জয় পাওয়া হল না হামজা চৌধুরীদের।

ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ গোলে পিছিয়ে। অন্তিম মুহূর্তে একেরপর এক আক্রমণ চালিয়েছে বাংলাদেশ দল। একটানা পাঁচখানা কর্ণার আদায় করে নেন সামিত সোমরা। কিন্তু ঐ তিন কাঠির নিচে বল পাঠাতেই পারেননি আল আমিন, শাহরিয়ার ইমনরা।

তবে প্রচেষ্টার কোণ প্রকার কমতি ছিল না রাকিব হোসেনদের। প্রথমে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে রাকিবের গোলে। হামজা চৌধুরির একটা থ্রু পাস থেকে ম্যাচের ৬৭ মিনিটের মাথায় ভাঙে সিঙ্গাপুরের ডেডলক।

কিন্তু একটা গোলে সন্তুষ্ট কেনই বা থাকবে বাংলাদেশ! তারা তো চায় জয়, নিদেনপক্ষে একটা ড্র মন্দ নয়। কিন্তু সেটাও পাওয়া হল না রেফারি এক নিছক ভুলে। এখানেই সম্ভবত আক্ষেপ বাড়ে ভার প্রযুক্তি না থাকার। সেই প্রযুক্তির ব্যবহার এ যাত্রায় বাংলাদেশকে অন্তত একটি পয়েন্ট এনে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারত।

যদিও এরপরও বাংলাদেশ দমে থাকেনি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্ত অবধি লড়াই করেছে। এমনকি শেষ বাশি বাজার ঠিক আগ মহূর্তেও বাংলাদেশ ছিল আক্রমণে। শেষের দিকে তারিক কাজির হেডটা প্রতিহত করেন ইজওয়ান মাহবুদ। নতুবা বাংলাদেশ পেয়ে যেতে পারত সমতা।

কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, রেফারি একটি ভুল সিদ্ধান্ত বয়ে নিয়ে আসে একরাশ হতাশা। সেটাই অন্তত ঘটল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে গেলে হয়ত বাংলাদেশ তৃতীয় গোলের দেখাও পেয়ে যেতে পারত। কিন্তু দিনশেষে এসব স্রেফ আফসোস বাড়াবে, বদলানো যাবে না কিছুই।

Share via
Copy link