সম্ভবত ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় ম্যাচ ছিল অ্যারন জনসনের জন্যে। চাপ ছিল নিশ্চয়ই। সে চাপকে সীমানার বাইরে নিয়ে ফেলেছেন জনসন। পাকিস্তানের বোলারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। অর্ধশত রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। প্রতিকূলতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে লড়াকু এক চরিত্রের মঞ্চায়ন।
একটা নিচু হওয়া শর্ট বলে বোল্ড হয়েছেন জনসন। তিনি যখন আউট হন তখন কানাডা দলের মোট সংগ্রহ ৭৩ রান। জনসনের ব্যক্তিগত রান তখন ৫২ রান। দলের ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে পতন ঘটে ডানহাতি এই ওপেনারের। এইটুকু বিবরণই সম্ভবত বলে দেয় ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলে গেছেন অ্যারন জনসন।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামে কানাডা। দুই ওপেনারের একজন ছিলেন অ্যারন। সেই প্রথম বল থেকে ৮১ তম বল অবধি জনসন খালি দেখেছেন ধ্বংসযজ্ঞ। একটা প্রান্ত তিনি আগলে রেখেছেন। আরেকটা প্রান্ত দিয়ে হয়েছে যাওয়া-আসার মিছিল। কানাডার অনভিজ্ঞ ব্যাটারদের জন্যে পাকিস্তানি পেসাররা রীতিমত যমদূত।
জনসন তবুও ভয় পেলেন না। নিজেকে বন্দী করে ফেললেন না কোন এক অদৃশ্য খোলসে। বরং তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট চালিয়েছেন। শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বল হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। সমান ৪টি করে চার-ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে।
অর্ধশতকটাও তিনি করেছেন দারুণ ভঙ্গিমায়। ইমাদ ওয়াসিমের একটি বলকে সোজা তার মাথার উপর দিয়ে ছক্কা হাকান। ঠিক এরপরই হাওয়ায় মারেন এক মৃদু ঘুষি। ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন ডাগআউটের দিকে। এর আগেও অর্ধশতক করেছেন জনসন। এমনকি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার ২টি সেঞ্চুরি রয়েছে। তবুও এই হাফসেঞ্চুরি যেন একটু ‘স্পেশাল’।
কেননা নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছেন। তিনি ব্যাটিং করবার সময়ও তার দল ছিল সুপার এইটের দৌড়ে। তাছাড়া প্রতিপক্ষ ও তাদের বোলিং শক্তিমত্তা বিবেচনায় এই হাফসেঞ্চুরি বিশেষ কিছু হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। নিউ ইয়োর্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রতিকূল উইকেটে দাঁড়িয়ে ১১৮ স্ট্রাইকরেটের একটা কার্যকর ইনিংস খেলে গেছেন। দলকে একটু হলেও স্বস্তিদায়ক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাই করে গেছেন।