এভাবেও ফিরে আসা যায়?

লেফট উইং ধরে উঠে এসে রাফায়েল লিঁও ক্রস দিয়েছিলেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে, আর ৯৩ মিনিটের মাথায় সেই ক্রসে পা ছুঁইয়ে দলকে মহামূল্যবান একটা গোল এনে দেন তিনি। আনন্দের জোয়ার ওঠে লাল সমুদ্রে।

অবিশ্বাস্য, অলৌকিক কিংবা অসম্ভব – মিলান ডার্বিতে যা হলো, যা ঘটলো সবকিছু যেন ভ্রম সৃষ্টি করেছে চোখের সামনে। খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়া, অতঃপর বীরের মত পাল্টা আঘাত! দুই গোলে পিছিয়ে থাকলে পাঁড় ভক্তও বোধহয় জয়ের পক্ষে বাজি ধরার সাহস পায় না অথচ ট্যামি আব্রহামরা যা করে দেখালেন সেটা ব্যাখ্যাতীত।

লেফট উইং ধরে উঠে এসে রাফায়েল লিঁও ক্রস দিয়েছিলেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে, আর ৯৩ মিনিটের মাথায় সেই ক্রসে পা ছুঁইয়ে দলকে মহামূল্যবান একটা গোল এনে দেন তিনি। আনন্দের জোয়ার ওঠে লাল সমুদ্রে, পূর্ণতা পায় অতিমানবীয় একটা প্রত্যাবর্তনের গল্প আর সেই সাথে ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা উঠে এসি মিলানের হাতে।

সূচনায় গল্পটা ছিল ঠিক উল্টো, প্রথমার্ধের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ইন্টার মিলান এগিয়ে গিয়েছিল লাউতারো মার্টিনেজের গোলে। বিরতি থেকে ফিরেই আবার জালের দেখা পান দলটির আরেক স্ট্রাইকার মেহদী তারিম। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় দলটার আত্মবিশ্বাস নির্ঘাত সাত আসমান ছুঁয়ে ফেলেছিল।

হয়তো ট্রফি নিয়ে কে কিভাবে উদযাপন করবে সেটাও ঠিক করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এসি মিলান সেই বাসনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উপহার দিলো স্মরণকালের সবচেয়ে সেরা ‘কামব্যাক’।

প্রত্যাবর্তনের মহাকাব্য লিখে ফেললো দলটি, থিও হার্নান্দেজ ফ্রি কিক থেকে গোল করে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহসটুকু দিয়েছিলেন সতীর্থদের। অনেক অপেক্ষার পর ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ সমতায় ফেরান এসি মিলানকে। আশার আলো তখন ভালো করেই জ্বলতে শুরু করেছিল।

শেষ পর্যন্ত আব্রাহামের গোলে আজন্ম মনে রাখার মত একটা জয় পেলো সমর্থকেরা। এর আগে সুপার কাপ টুর্নামেন্টের সেমিতে জুভেন্টাসের বিপক্ষেও পিছিয়ে গিয়ে পরে জয় আদায় করে নিয়ছিল দলটা। এবারের সুপার কাপকে তাঁরা চাইলে তাই ‘কামব্যাক ট্রফি’ বললেও বলতে পারে।

Share via
Copy link