আফিফ আর সাতে নয়

বাংলাদেশ দলের হয়ে যারা এশিয়া কাপে যাচ্ছেন তাঁদের নাম ইতিমধ্যে জানা হয়ে গিয়েছে। ১৭ জনের এই স্কোয়াডে বিতর্কের খুব একটা সুযোগ নেই; তবে কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে রয়েছে মৃদু অসন্তোষ। আফিফ হোসেন তাদের একজন; বলতে পারেন ওয়ানডে দলের ভাবনা থেকে বাদ পড়ার পর আবার হুট করেই দলে ফিরেছেন তিনি।

এবার অবশ্য আফিফ হোসেনকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তাভাবনা বদলেছে। লম্বা সময় ধরে সাত নম্বরের জন্য যে আফিফকে ভাবা হয়েছিল তাঁকে এখন খেলানো হবে উপরের দিকেই। নিয়মিত একাদশে সুযোগ না পেলেও টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডারের ব্যাকআপ হিসেবে দলে রাখা হয়েছে এই বাম-হাতিকে।

হেডকোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে এমন পরিকল্পনা আঁচ করা গিয়েছিল আরো কিছুদিন আগে; আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হঠাৎ করেই রনি তালুকদারকে সরিয়ে ওপেনিংয়ে আনা হয়েছিল আফিফকে। মন্দ করেননি সে সময়, ফলে আস্থা বেড়েছিল তাঁর উপর। তাই তো ফরম্যাট বদলালেও আফিফকে নিয়ে ভিন্ন কিছু করার কথাই ভাবা হচ্ছে।

ওয়ানডেতে অভিষেকের পর থেকে নিচের দিকেই ব্যাটিং করে আসছেন আফিফ হোসেন। কিন্তু কখনোই পাওয়ার হিটার ছিলেন না তিনি, বরং সময় নিয়ে ইনিংস বড় করাই তাঁর শক্তির জায়গা। এখন পর্যন্ত তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস গুলো এসেছে দলের বিপর্যয়ের মুখেই; এই যেমন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯৩ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭২ রানের নক।

ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের দিকেই খেলেন আফিফ হোসেন। সাত নম্বরে খেলিয়ে তাই তাঁর সেরাটা বের করতে পারেনি টিম বাংলাদেশ, এবার সেই ভাবনা বদলেছে। এই স্টাইলিশ ব্যাটারকে ওপেনিং কিংবা ব্যাকআপ হিসেবে মিডল অর্ডারে দেখা যেতে পারে।

আপাতত সাত নম্বরে কেবল শামীম হোসেনকেই বিবেচনা করেছে নির্বাচকরা। সেই সাথে বাড়তি অপশন হিসেবে রাখা হয়েছে শেখ মেহেদি হাসানকে; চাইলে আবার মেহেদি মিরাজও খেলতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ এই পজিশনে। সত্যি বলতে, এদের টপকে আফিফ হোসেনের লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।

টেকনিক্যাল ব্যাটসম্যানরা দারুণ ব্যাটিং করার সামর্থ্য রাখেন; সিঙেলস, ডাবলসে রানের চাকা সচল রাখাও তাঁদের জন্য সহজ। আফিফ হোসেনের ব্যাটিংয়ের ধরনও ঠিক তেমন। তাই বর্তমানে না হোক, আফিফ হোসেনকে মিডল অর্ডারে বিবেচনা করা হলে ভবিষ্যতে অন্তত উপকৃত হবে বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপে যদি বাংলাদেশ সুপার ফোরে খেলতে পারে কিন্তু নিয়মিত ওপেনাররা রান না পান তবে ওপেনিংয়েই হয়তো দেখা যাবে আফিফ হোসেনকে। ওয়ানডে ফরম্যাটে একটা সময় সৌম্য সরকার যেমন এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছিলেন, আফিফের কাছেও দল সম্ভবত তেমন কিছু প্রত্যাশা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link