Social Media

Light
Dark

আইচের হাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রদীপ

প্রায় অচেনা একটা কন্ডিশন। লাল বলের খেলা। পেসবান্ধব উইকেটে পাকিস্তানের পেসারদের সামলে নেওয়া। এসব তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু এত প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশি এক তরুণ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে গেছেন। আইচ মোল্লা নিজের মধ্যে থাকা টেস্ট টেম্পারমেন্টের একটা খণ্ডচিত্র তুলে ধরেছেন।

প্রথম ইনিংসে শুরুর পাঁচ ব্যাটারের তিনজনই ব্যর্থ হন বড় ইনিংস খেলতে। তেমন এক পরিস্থিতিতে আইচ মোল্লা ক্রিজে আসেন। চারদিনের প্রথম শ্রেণির স্বীকৃতি পাওয়া ম্যাচে তিনি দলের হাল ধরবার কাজটা করেন। যাত্রা পথে তুলে নেন নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি। এই সময়ে ৮০টি বল মোকাবেলা করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

তাতে করে শেষ অবধি ২৫৮ রান অবধি পৌঁছায় বাংলাদেশ এ দলের সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শাহীনস ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আইচ আবারও দৃঢ়চিত্তে ব্যাটিংটা করে যেতে থাকেন। দলের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান জয়ও এদিন তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি।

আইচের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও বেশি ধৈর্য্যের পরিচয় দেন। সেই ইনিংসে তিনি বল মোকাবেলা করেন ১২৩টি। সে সুবাদে নিজের দ্বিতীয় ফিফটির দেখাও পেয়ে যান আইচ। ৫৮ রানে তিনি আউট হন। ২১৬ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। পাকিস্তান শাহিনসের লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ২৯৬।

শেষ অবধি শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই শেষে, ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ এ দল। অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে প্রথম চার দিনের ম্যাচটি হেরেছিল বাংলাদেশ এ দল। বিশাল পরাজয়ের সে ম্যাচেও আইচ পেয়েছিলেন অর্ধশতকের দেখা। সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭০ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে।

ধারাবাহিকভাবে রানের দেখা পাচ্ছেন ২১ বছরের তরুণ এই ব্যাটার। তবে নিজের ইনিংসগুলোকে তিন অংকের ঘরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। কিন্তু সাদা পোশাকে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। সবে মাত্র ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন আইচ মোল্লা। এর মধ্যে ৫টি ইনিংসে অর্ধশত রান করেছেন।

স্রেফ অভিজ্ঞতার অভাবেই নিজের ইনিংসগুলোকে শতকের মাইলফলক অবধি নিয়ে যেতে পারছেন না। সময়ের সাথে সাথে হয়ত তিনি কাটিয়ে উঠবেন এই সংকট। সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলে তিনি বনে যেতে পারেন বাংলাদেশের জন্যে সম্পদ।

আইচ মোল্লার বয়সটা একেবারেই কম। এখনও বহুদূর পথ যেতে হবে তাকে। এখনই তিনি বাংলাদেশের কাণ্ডারি বনে যাবেন- এমন বিবৃতি দেওয়া বাড়াবাড়ি। তবে সম্ভাবনা রয়েছে তার। সম্ভাবনার সেই প্রদীপ মশালে পরিণত হবে- তেমনটাই হয়ত প্রত্যাশা করছে সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link