বিশ্বকাপ হবে অলরাউন্ডারদের

যেকোনো ফরম্যাটে যেকোনো দলের জন্য অলরাউন্ডাররা মহামূল্যবান বস্তু। ব্যাটে, বলে কমপ্লিট এই প্যাকেজরা ক্ষণিকের মাঝেই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া সব দলেই আছে এমন একাধিক ক্রিকেটার, যারা একাই নির্ধারণ করে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য।

যেকোনো ফরম্যাটে যেকোনো দলের জন্য অলরাউন্ডাররা মহামূল্যবান বস্তু। ব্যাটে, বলে কমপ্লিট এই প্যাকেজরা ক্ষণিকের মাঝেই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া সব দলেই আছে এমন একাধিক ক্রিকেটার, যারা একাই নির্ধারণ করে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য।

তবে তাঁদের মধ্যেই বিশেষ কয়েকজন আছেন যাদের দিকে নজর থাকবে পুরো বিশ্বের। সেসব অলরাউন্ডারদের ব্যাপারে একটু আলোচনা করা যাক।

  • বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)

২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর থেকে বোধহয় বেন স্টোকসের সামর্থ্য নিয়ে সংশয়ের বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। ঘরের মাঠে প্রায় একা হাতে ফাইনাল জেতানোর পর আরো একটি বিশ্ব আসরে স্টোকসের উপর ভরসা করছে ইংলিশরা। পুরো ক্যারিয়ারে ৪০ এর উপর গড় আর ৯৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি; আর বোলার হিসেবে বরাবরই ব্রেক থ্রু এনে দিতে সিদ্ধহস্ত এই বাঁ-হাতি।

হার্ডহিটিং ব্যাটিং আর কার্যকরী ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও স্টোকস বিশ্বসেরা। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ চাপের মুহুর্তে পারফর্ম করতে পারা। সম্ভবত গত কয়েক বছরের ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ল্যাচ প্লেয়ার এই ইংলিশম্যানই। স্বাভাবিকভাবেই ভারত বিশ্বকাপেও তাঁকে ঘিরে আকর্ষণ থাকবে সবার।

  • সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

২০১৯ বিশ্বকাপে বেন স্টোকসের মত দলীয় সাফল্য না পেলেও অতিমানবীয় পারফরম্যান্স করেছিলেন বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানও। ব্যাট হাতে ৬০০ এর বেশি রান আর বল হাতে ১১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন তিনি – তবে সতীর্থদের ব্যর্থতায় পারেননি টুর্নামেন্ট সেরা হতে।

এবার হয়তো সেই আক্ষেপ দূর করতে চাইবেন তিনি। তাই তো বিশ্বকাপ দলটাকে নিজের মত করে গুছিয়ে নিয়েছেন। তাছাড়া ভারতের কন্ডিশন সাকিবের জন্য হাতের তালুর মতই পরিচিত, সেজন্য এই আসরে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার যদি ইতিহাস গড়ে ফেলেন তাহলে অবাক হওয়ার কোন কারণ থাকবে না।

  • হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত)

বর্তমানে ইনফর্ম অলরাউন্ডারদের একজন ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর অসাধারণ ক্রিকেটীয় দক্ষতা ইতোমধ্যে তাঁকে দলটির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভে পরিণত করেছে। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে এই তারকার পাওয়ার হিটিং রোহিত শর্মাদের জন্য বড়সড় প্লাস পয়েন্ট। অন্যদিকে বোলার হিসেবে পান্ডিয়া পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য, চাইলে তৃতীয় পেসার হিসেবেও খেলানো যায় তাঁকে।

শুধু মিডল অর্ডারে হয়, ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় উপরের দিকেও ব্যবহার করা যায় হার্দিক পান্ডিয়াকে – তাই তো পান্ডিয়ার উপস্থিতি ভারতকে আরো ফ্লেক্সিবল করে তুলেছে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে আসন্ন বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্বও উঠেছে তাঁর কাঁধে।

  • রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)

হার্দিক পান্ডিয়ার মতই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ফিনিশার হিসেবে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই বিপদের কারণ জাদেজা। চার-ছয়ের মারে জয় ছিনিয়ে আনতে পারদর্শী তিনি। আবার উপমহাদেশের পিচে তাঁর অফ স্পিনে রান তুলতে হিমশিম খেতে হয় বাঘা বাঘা ব্যাটারদেরও, ফলে ব্যাটিং দলের মাঝের ওভারে রানের গতি আটকে যেতে পারে এই বাঁ-হাতির বদৌলতে।

তবে এই দুই বিভাগের চেয়ে ফিল্ডিংয়ে জাদেজার পারফরম্যান্স আরো বেশি দুর্দান্ত। তাঁর একটা ডিরেক্ট থ্রো-তেই ম্যাচের চিত্রপট পাল্টে যেতে পারে। সবমিলিয়ে তাই এবারের বিশ্বকাপের সেরা পারফর্মারদের একজন হবেন রবীন্দ্র জাদেজা – এমন বাজি ধরাই যায়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...