ফাইনালে মাঠে নামারই সুযোগ হয়নি। আসরের যে দশটি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সেখানেও বেশিরভাগ ম্যাচেই খেলেছেন ম্যাচ শেষের অল্প কয়েক মিনিট। তবুও, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন এখন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ।
আর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে শিরোপা জেতার সাথে সাথে এক বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেছেন আলভারেজ। ইতিহাসের মাত্র দ্বাদশ ফুটবলার হিসেবে একই মৌসুমে বিশ্বকাপের পর এবার ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও জিতলেন আলভারেজ।
গত মৌসুমেই রিভারপ্লেট থেকে ম্যানসিটিতে যোগ দেন আলভারেজ। এখন পর্যন্ত ৪৯ ম্যাচে মাঠে নেমে ১৭ গোল আর পাঁচ এসিস্ট আছে এই ফরোয়ার্ডের।
ম্যানসিটিতে আসার পরপরই আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন আলভারেজ। চলতি মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয় সম্ভাব্য চারটি শিরোপাই জিতেছেন আলভারেজ। এই কীর্তিও ইতিহাসের প্রথম।
আলভারেজের এই অর্জনের পর টুইটারে এক আর্জেন্টাইন ভক্ত লেখেন, ‘আমাদের আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছে।’
ইতিহাসের মাত্র দশম ফুটবলার হিসেবে একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব জিতলেন আলভারেজ। আলভারেজের আগে এক মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার সর্বশেষ কীর্তিটা ছিল ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের।
২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন ভারান। প্রথমবার একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার কীর্তি একই সাথে গড়েছিলেন জার্মান ছয় ফুটবলার।
১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন সেই ছয় ফুটবলার। হানস-গিওর্গ সোয়ার্জেনবেক, জার্ড মুলার, উলরিখ হোয়েনেস, পল ব্রেইটনার, জোসেফ মায়ার ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়াররা একই সাথে গড়েছিলন সেই কীর্তি।
এরপর এই কীর্তি গড়া বাকি তিন ফুটবলারই রিয়াল মাদ্রিদের। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর রিয়ালের হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু। ২০০২ সালে এই কীর্তি গড়েন রবার্তো কার্লোস।
তবে এই নয় ফুটবলারের কেউই চারটি শিরোপা জিততে পারেননি। জার্মানি ও বায়ার্নের ওই ছয় তারকা লিগ ও ইউরোপীয়ান কাপ জিতলেও লিগ কাপের সেমিফাইনালে হেরে যান। ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে এই কীর্তি গড়ে তাই অনেকটা ইতিহাসের পাতায় নাম খোদাই করে নিলেন আলভারেজ।