অগ্নি ঝরানো আগুন পাখি

সুপার ওভারে একটি, দুইটি নয় বরং তিন তিনটি ওয়াইড ডেলিভারি এসেছিল মোহাম্মদ আমিরের হাত থেকে। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারে ১৯ রান খরচ করেন তিনি, বনে যান ম্যাচের খলনায়ক।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এমন প্রত্যাবর্তন নিশ্চয়ই তাঁর কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি এই পেসার; ভারত ম্যাচের মত কানাডার বিপক্ষেও বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন।

এদিন কানাডার ব্যাটাররা কোন জবাবই দিতে পারেননি তাঁকে। চার ওভার বল করে স্রেফ ১৩ রান খরচ করেছেন তিনি, বিনিময়ে শিকার করেছেন দুইটি উইকেট। ইনিংসের সেরা বোলারের ট্যাগটা তাই তাঁর খাতাতেই যোগ হয়েছে।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে কানাডা অবশ্য শুরুটা ভালভাবেই করেছিল। শাহীন শাহ এবং নাসিম শাহয়ের দুই ওভারে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন দলটির দুই ওপেনার। এমনকি আমিরের প্রথম ওভারের প্রথম বলে চারও হাঁকিয়েছিলেন, কিন্তু এরপরই দৃশ্যপট বদলে দেন তিনি। সেই ওভারের শেষ বলে নভনীতকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন পাকিস্তানকে।

পরের ওভারে উইকেট না পেলেও দাপট ধরে রেখেছিলেন এই বাঁ-হাতি;পাঁচটি ডট বল আদায় করেন সেবার। পুনরায় আক্রমণে ফিরে এরপর প্রতিপক্ষের শেষ ভরসা সাদ বিন জাফরকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি। তাঁর উইকেট সংখ্যা অবশ্য বাড়তে পারতো; শেষ ওভারে একটি ক্যাচ মিস হয়েছে আবার কট বিহাইন্ড হওয়া সত্ত্বেও টের পায়নি কেউই।

এর আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন এই বোলার। দল হারলেও তাঁর বোলিং প্রশংসা কুড়িয়েছে ক্রিকেট মহলে। পরপর দুই বলে সেদিন ঋষাভ পান্ত ও রবীন্দ্র জাদেজাকে ফিরিয়ে টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডারকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

২০২০ সালে অভিমান করেই পাকিস্তান দলকে বিদায় বলেছিলেন এই তারকা। চার বছর পর বিশ্বকাপ উপলক্ষে ফিরেছেন আবার। শুরুটা ভাল না হলেও ধীরে ধীরে ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন তিনি, হয়ে উঠেছেন ধারাবাহিক। এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা, সুপার এইটের কঠিন সমীকরণ মেলানোর পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link