বল হাতে এসেছেন তো উইকেট সুনিশ্চিত। রান করা তো দূরের কথা, ২২ গজে ঠিকঠাকভাবে দাঁড়াতেই পারেননি উগান্ডার ব্যাটাররা। ক্যারিবিয়ান বোলার আকিলের হোসেনের বল মোকাবেলা করতেই যেন হিমশিম খেয়েছে তাঁরা।
শুরুটা উগান্ডার ওপেনার রজার মুকাসাকে দিয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আকিলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দেন মুকাসা। পরপর তিনটি ম্যাচে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে হয় এই ব্যাটারকে। তারপরের উইকেটটাও একই ধরনের। তবে এবারের শিকার আলপেশ রামজানি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আবারো এই উইকেট শিকারীকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। আকিলের বল এবার সরাসারি আঘাত হানে রিয়াজাত আলি শাহের ষ্ট্যাম্পে। ১৯ রানে ৫ ব্যাটার হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে যায় ব্রায়ান মাসাবার দল।
তবে নিজের চতুর্থ ওভারে যেন আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন ক্যারিবিয়ান এই বোলার। এক ওভারেই দুই দুইটি উইকেট শিকার করেন এই বাঁ- হাতি বোলার।আকিলের বলে দীনেশ নাকরানি সাজঘরে ফিরছেন তাঁর সতীর্থদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই। এবারও প্রতিপক্ষের ব্যাটারের ষ্ট্যাম্পে সরাসরি আঘাত হানে আকিলের বল।
আর সেই ওভারের পঞ্চম বলে কেনেথ ওয়াইসওয়াকে আবারও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই ইনিংসের উইকেট শিকারের যাত্রা সমাপ্ত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বোলারের। ততক্ষণে মাত্র ২৩ রানে ৭ টি উইকেট হারিয়ে বিধ্বস্ত উগান্ডা।
এই ইনিংসে আকিলের বোলিংয়ের পরিসংখ্যানটা বেশ অভাবনীয়। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোট উইকেট বাগিয়ে নেন ৫ টি। খরচ করেন ১১ রান, যেখানে ইকোনমি রেট মাত্র ২.৭৫। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় মোট ২৪ বলের ১৯ টি বলেই কোনো রান নিতে পারেননি উগান্ডার ব্যাটাররা। তিনি গত ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষেও পেয়েছিলেন একটি উইকেট।
বলতেই হয় দিনটা ছিল শুধুই আকিল হোসেনের। বল হাতে পূরণ করেছেন ফাইফারের কোঠা। আকিল নৈপুণ্যে ১৩৪ রানের বিশাল জয় পায় স্বাগতিকরা। সেই সাথে উগান্ডা পায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা। তাই আগামী ম্যাচগুলোতে তাঁকে অবশ্যই আলাদা করে ভাবতে হবে প্রতিপক্ষকে। নয়তো উগান্ডার মত উইকেট বিলিয়ে আসতে হবে আকিল হোসেনের ঝুলিতে। দুর্দান্ত এক ইনিংসেই ব্যাটারদের আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে গেল আকিল হোসেন।