বলা হয়, যে-কারো সবচেয়ে বড় ভক্ত তাঁর জীবনসঙ্গীকেই হতে হয়। কিন্তু সবার ভাগ্য ততটা সুপ্রসন্ন হয় না; সবাই সঙ্গীর কাছ থেকে যথাযথ সমর্থন টুকু পান না। বিরাট কোহলি অবশ্য সৌভাগ্যবানদের দলেই, কেননা কোন সন্দেহ ছাড়াই আনুশকা শর্মা তাঁর সবচেয়ে সেরা ভক্ত। পরিস্থিতি যেমনই হোক, আনুশকার ওপর তাই ভরসা করতে পারেন বিরাট।
ভারতের ম্যাচ আছে, কোহলি খেলছেন এমন দিনে গ্যালারিতে এই বলিউড স্টার থাকবেন না এমন ঘটনা কমই ঘটে। নিয়মিত মাঠে গিয়ে সমর্থন দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না তিনি। ব্যতিক্রম হয়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও, ভারত যখন ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কিউইদের মুখোমুখি হয়েছিল আনুশকা ঠিকই হাজির হয়ে গিয়েছেন ওয়াংখেড়েতে।
স্ত্রীকে সাক্ষী করেই কোহলি পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে পঞ্চাশতম সেঞ্চুরির মালিক বনে গিয়েছেন এই ম্যাচেই। দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলার পর তাই তাঁর কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি ভারতীয় তারকা। তিনি বলেন, ‘আনুশকা গ্যালারিতে বসেছিল, সেজন্যই এমন সেলিব্রেশন। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মত না, আমি যদি নিখুঁত কোন ছবি আঁকতে পারতাম, তবে এই দৃশ্যটাকেই আঁকতাম।’
এই ডানহাতি আরো যোগ করেন, ‘আমার লাইফ পার্টনার, যাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসি সে মাঠে ছিল। আমার আইডল (শচীন টেন্ডুলকার) ছিল, তাঁদের সবার সামনে রেকর্ড গড়তে পারাটা দারুণ ব্যাপার ছিল।’
কোহলি যেমন অভিভূত হয়েছেন আনুশকার উপস্থিতিতে, আনুশকাও তেমনি দুইচোখ ভরে দেখেছেন এই ব্যাটারের শিল্প প্রদর্শনী। বিয়ের অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও স্বামীর প্রতি এক বিন্দু মুগ্ধতা কমেনি এই অভিনেত্রীর। সময়ে-অসময়ে এই ব্যাটারের পাশে দাঁড়াতেও এক মুহুর্ত ভাবতে হয় না তাঁকে। এই যে বছর দুয়েক আগেও বিরাট কোহলি যখন ক্যারিয়ারের বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তখনও নীরবে নিভৃতে নিজের সমর্থন দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
না, সেজন্য সমালোচকদের দিকে বাজে কথা ছোড়েননি; টিম ম্যানেজম্যান্ট বা তৃতীয় পক্ষের কাউকেই ইঙ্গিত করে কিছু বলেননি। শুধু ছায়া হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট আকাশের উজ্জ্বলতম তারকার সঙ্গে, তাঁর লড়াইয়ের সঙ্গী হয়ে পাশে ছিলেন আনুশকা শর্মা।