টি-টোয়েন্টির উপমহাদেশীয় হিট আউট

ক্রিকেটের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ও বিরল আউট হবার ধরণ হচ্ছে হিট উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের হিট আউট হতে দেখা যায়না বললেই চলে। কেননা যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেন তাঁদের সবারই ব্যাটিং টেকনিক, ধরণ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকে। তাঁরা জানেন স্ট্যাম্প থেকে কতটুকু দুরত্বে থেকে ব্যাটিং করতে হয়।

ক্রিকেটের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ও বিরল আউট হবার ধরণ হচ্ছে হিট উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের হিট আউট হতে দেখা যায়না বললেই চলে। কেননা যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেন তাঁদের সবারই ব্যাটিং টেকনিক, ধরণ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকে। তাঁরা জানেন স্ট্যাম্প থেকে কতটুকু দুরত্বে থেকে ব্যাটিং করতে হয়।

ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হিট উইকেট দেখা যায়না বললেই চলে। তবুও কখনো কখনো বিরল এই ভুলটি করে ফেলেন ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই এটি বেশি দেখা যায়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মাত্র একজন হিট আউট হয়েছেন। এছাড়া এশিয়ার মোট ছয় জন ব্যাটসম্যান এই ফরম্যাটে হিট আউট হয়েছেন। এশিয়ার এই ছয় হিট আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের নিয়েই এই তালিকা।

  • মোহম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের অন্যতম সফল ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের একজন মোহম্মদ হাফিজ। ৪১ বছর বয়সে এসেও এখনো পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। দেশটির হয়ে মোট ১১৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মোহম্মদ হাফিজ। সেখানে ব্যাট হাতে তাঁর ঝুলিতে আছে ২৫১৪ রান। এছাড়া বল হাতেও নিয়েছেন ৬১ উইকেট।

ওদিকে মোহম্মদ হাফিজই এশিয়ার একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ৫০ এর বেশি রান করেও হিট আউট হয়েছেন। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলছিলেন হাফিজ। ১৬৮.৬২ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৮৬ রান। দুর্দান্ত খেলিতে থাকা হাফিজ সেই সময় হিট আউট হয়ে ফিরে আসেন।

  • লোকেশ রাহুল (ভারত)

এই মুহুর্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনারদের একজন লোকেশ রাহুল। এই ফরম্যাটে বর্তমানে ভারতের সহ অধিনায়কও তিনি। রাহুল ভারতের হয়ে মোট ৫৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে প্রায় ৪০ গড়ে ব্যাটিং করে করেছেন ১৮৩১ রান।

এছাড়া ভারতের প্রথম ব্যটসম্যান হিসেবে হিট আউট হয়েছেন লোকেশ রাহুল। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান এই কান্ড করেছিলেন ২০১৮ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১৮ রানও করে ফেলেছিলেন। তখনই হঠাত হিট আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রাহুল।

  • নাসুম আহমেদ (বাংলাদেশ)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের নিয়মিত বোলার হয়ে উঠেছেন নাসুম আহমেদ। বাংলাদেশের এই স্পিনারও জায়গা করে নিয়েছেন ব্যাটারদের এই তালিকায়। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম ইতোমধ্যে ১৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। সেখানে তাঁর ঝুলিতে আছে ২২ টি উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নাসুমের ইকোনমি রেট ৬.৬৩।

ওদিকে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে হিট আউট হয়েছেন নাসুম আহমেদ। এবছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই কান্ড করেন নাসুম আহমেদ।

  • হারশাল প্যাটেল (ভারত)

ভারতের ক্রিকেটে পরিচিত নাম হারশাল প্যাটেল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেতে এই বছরই অভিষিক্ত হয়েছেন এই বোলার। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র দুটি। সেখানে চার উইকেট নিয়ে বোলিং সামর্থ্যের প্রমাণও দিয়েছেন।

তবে ব্যাট হাতে বিরল এই কীর্তিও করেছেন প্যাটেল। ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে হিট আউটের স্বীকার হয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১১ বল ১৮ রানের ইনিংসও খেলে ফেলেছিলেন তিনি। তবে তখনই হিট আউট হন এই পেসার।

  • দীনেশ চান্দিমাল (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কার সফল ব্যাটসম্যান দীনেশ চান্দিমালও আছেন আমাদের এই তালিকায়। দেশটির হয়ে প্রায় এক যুগ ধরেই তিন ফরম্যাটে খেলে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার। ৬১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চান্দিমালের ব্যাট থেকে এসেছে প্রায় এক হাজার রান।

তবে শ্রীলঙ্কার একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হিট আউট হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ম্যাচে এই কীর্তি করেন চান্দিমাল।

  • মিসবাহ উল হক (পাকিস্তান)

পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মিসবাহ উল হক। পাকিস্তানের হয়ে অধিনায়কত্ব ও দেশটির কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ৩৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৭.৫২ গড়ে এই ব্যাটারের ঝুলিতে আছে ৭৮৮ রান।

দেশটির প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হিট আউট হয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। সেই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে নিজের প্রথম বলেই হিট আউট হন মিসবাহ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...