দলগত ঐক্যে ইংরেজ বধ অজিদের

পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে গেল ২-০তে। নিয়মিত অধিনায়ক জশ বাটলারের শূন্যতা বোধহয় পূরণ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে সুযোগ এখনই শেষ হয়ে যায়নি, পরের তিন ম্যাচ জিতলে শিরোপা ঘরেই থাকবে। তিন ম্যাচ না হোক, অন্তত সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে আগামী ম্যাচে জিততেই চাইবে স্বাগতিকরা।

কাটার ডেলিভারি, বেন ডাকেট সেটা না বুঝেই শট খেলে বসলেন; ফলে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারলেন না তিনি, বল উড়ে গেল বোলারের বামদিকে। নিজেকে তখন বোধহয় নিরাপদ ভেবেছিলেন ইংলিশ ব্যাটার, ভেবেছিলেন এবারের যাত্রায় বেঁচে গেলাম। তবে অ্যারন হার্ডি অলৌকিক দৃশ্যের অবতারণা ঘটালেন, বিদ্যুৎ গতিতে এক হাতে লুফে নিলেন ক্যাচ।

পরের বল, লেগ সাইডে ফ্লিক করতে চাইলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। যদিও ব্যাট ছুঁয়ে বল উড়ে গেল উইকেটরক্ষকের অনেকটা বাম দিক দিয়ে। কিন্তু অ্যালেক্স ক্যারি হাতছাড়া করলেন না, বাজপাখির মত ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নিলেন বল – পরপর দুই বলে দুইটি অবিশ্বাস্য ক্যাচে ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়লো ইংল্যান্ডের৷

সেই মুহুর্তেই অস্ট্রেলিয়া জয়ের পথে এগিয়ে গিয়েছিল অনেকটা, এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিং ম্যাচে ওপর একক নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছিল। এর আগেই অবশ্য উড়ন্ত সূচনা পাওয়া গিয়েছে মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলউডের সৌজন্যে।

ফিলিপ সল্টের উইকেট নিয়ে শুরুটা ধ্বংসলীলার শুরুটা করেছিলেন হ্যাজলউড, এরপরই স্টার্কের জোড়া আঘাত – উইল জ্যাকসকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছিলেন তিনি, পরের ওভারেই চিরচেনা ইনসুইং ইয়র্কার। তবু ডাকেট চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু হার্ডি আর ক্যারির দুর্ধর্ষ ফিল্ডিংয়ে সেই চেষ্টা বৃথা গিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডের পুরো গল্পটা এমনই। নিখুঁত ‘টিম পারফরম্যান্স’ দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে অজিরা। তিন পেসার একত্রে শিকার করেছেন সাত উইকেট, এছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নিয়েছেন দুই উইকেট আর জাম্পার ঝুলিতে গিয়েছে একটি। তাতেই ২০২ রানে গুটিয়ে গিয়েছে হ্যারি ব্রুকের দল।

এর আগে ব্যাটিং ইনিংসে ঐক্যের পরিচয় দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা। ওপেনার ম্যাথু শর্ট আর ট্রাভিস হেড দু’জনেই খেলেছেন ২৯ রানের ইনিংস, অর্থাৎ বড় রান না করলেও প্রত্যাশিত শুরুটা এনে দিয়েছিলেন। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক মিচেল মার্শ এবং উইকেটরক্ষক ক্যারি এরপর রান করার মূল কাজটা করেছেন।

পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এগিয়ে গেল ২-০তে। নিয়মিত অধিনায়ক জশ বাটলারের শূন্যতা বোধহয় পূরণ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে সুযোগ এখনই শেষ হয়ে যায়নি, পরের তিন ম্যাচ জিতলে শিরোপা ঘরেই থাকবে। তিন ম্যাচ না হোক, অন্তত সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে আগামী ম্যাচে জিততেই চাইবে স্বাগতিকরা।

Share via
Copy link