চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষের পথে। সুপার এইটে উঠতে হলে তাদের মিলাতে হবে অনেক সমীকরণ। দলের এমন পরিস্থিতির জন্য স্বাভাবিকভাবেই অনেকে দায়ী মনে করছেন অধিনায়ক বাবর আজমকে। ব্যাটিং কিংবা অধিনায়কত্ব কোনোটিতেই তিনি বিশেষ অবদান রাখতে পারছে না। তাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের খারাপ প্রদর্শনীর পরেই অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর আজম৷ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লক্ষে তার পরিবর্তে সাদা বলের অধিনায়ক করা হয় শাহীন আফ্রিদিকে। তবে কোনো কারণ ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর শাহীনের জায়গায় পুনরায় বাবরকে অধিনায়ক করে পিসিবি। তার অধিনায়কত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এ প্রবেশ করে পাকিস্তান।
তবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের খারাপ পারফরম্যান্সের পর আবারও অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন বাবর। অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য পিসিবি চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন বাবর। আবেদনে বাবর আজম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতির জন্যও অনুরোধ করেছেন। যার অর্থ আগামী কয়েক মাস পাকিস্তানের হয়ে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে চান না তিনি।
আইসিসি টুর্নামেন্টের মেগা ইভেন্টে এমন ফলাফল মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তানি ভক্তরা। অনেকেই বাবরের অধিনায়কত্ব ও দল নির্বাচনে ক্ষুব্ধ। পাকিস্তানের হয়ে ছয়টি মেগা ইভান্টে দলকে নেতৃত্ব দিলেও কোনো শিরোপার স্বাদ পাননি বাবর।
বিশ্বকাপের শেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ২০০৯ সালের শিরোপা জয়ী দল পাকিস্তান। তবে এর আগে আয়ারল্যান্ডের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই ম্যাচটি যুক্তরাষ্ট্র জিতে নিলে শেষ ম্যাচ পাকিস্তান জিতলেও সুপার এইটের জন্য কোয়ালিফাই করতে পারবে না।