বাবর আজম, নি:সঙ্গ নাবিক

বাবর আজমের হাফ-সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক। তবুও হারের ‘হ্যাটট্রিক ভাগ্য’ পাল্টালো না পাকিস্তানের। এক ফিন অ্যালেনের কাছেই কুপোকাত শাহীন আফ্রিদির দল। ফিন অ্যালেনের বিপরীতে বাবর আজমের সামনে আজ সুযোগ ছিল সব কিছু বদলে দেওয়ার। সব সমালোচনার উত্তর এ দিনেই দেওয়ার পথে হেঁটেও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না। ফিফটি পেলেন ঠিকই। কিন্ত তাতে পাকিস্তানের পরাজয়ের দৃশ্য বদলায়নি। 

বাবর আজমের হাফ-সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক। তবুও হারের ‘হ্যাটট্রিক ভাগ্য’ পাল্টালো না পাকিস্তানের। এক ফিন অ্যালেনের কাছেই কুপোকাত শাহীন আফ্রিদির দল। ফিন অ্যালেনের বিপরীতে বাবর আজমের সামনে আজ সুযোগ ছিল সব কিছু বদলে দেওয়ার। সব সমালোচনার উত্তর এ দিনেই দেওয়ার পথে হেঁটেও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না। ফিফটি পেলেন ঠিকই। কিন্ত তাতে পাকিস্তানের পরাজয়ের দৃশ্য বদলায়নি।

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান এর আগে কখনোই ২০৮ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি। সেখানে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ২২৪ রান। জিততে হলে তাই পাকিস্তানকে গড়তে হতো নতুন রেকর্ড। যে রেকর্ড গড়ার পথে বাবরই যা একটু সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় জয়ের তীরে তরী ভেড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

চলতি সিরিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে পাকিস্তান ওপেনিংয়ে পাঠিয়েছে সাইম আইয়ুবকে। প্রথম ম্যাচে ৮ বলে ২৭ করা আইয়ুর অবশ্য পরের দুই ম্যাচেই ফ্লপ। আগের ম্যাচে প্রথম ওভারে আউট হওয়া এ তরুণ ব্যাটার এ দিন ফিরেছিলেন তৃতীয় ওভারে। বাবর আজম তিন নম্বরে ক্রিজে এলে আবারও  বাবর-রিজওয়ান জুটি শুরু হয়।

জুটিটা অবশ্য মন্দ হয়নি। ২৮ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দুজন। আর তাতে ইতিবাচক ব্যাটিংই শুরু করেছিলেন বাবর। ব্যক্তিগত ইনিংসের তৃতীয় বলেই তুলে নেন বাউন্ডারি। টিম সাউদির করা সেভারের শেষ দুই বলে টানা দুই চার মারেন বাবর। এরপর ম্যাট হেনরির বলেও দারুণ ব্যাটিং করছিলেন এ ব্যাটার। পেসারদের বিপক্ষে সাবলীল বাবরকে থামাতে বোলিং প্রান্তে ইশ সোধিকে নিয়ে এসেছিলেন মিশেল স্যান্টনার।

তবে তাতেও কাজ হয়নি। বাবর ব্যাট করে গিয়েছেন ইতিবাচক ইন্টেন্টেই। তবে ২২৫ রানের লক্ষ্যে যে সঙ্গটা তাঁকে দেওয়া প্রয়োজন ছিল, সেটাই মেটাতে পারেনি অন্য ব্যাটাররা। ২০ বলে ২৪ রান করে ফেরেন। এরপর ফখর এসেই রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম ৪ বলেই এক ছক্কা ও এক চারে করেন ১২ রান। শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ১০ বলে ১৯ রান। ফখর আউট হতেই কার্যত ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের।

কেননা, আজম খান, ইফতিখার আহমদরা এ দিনও ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিলেন। পাকিস্তানের ইনিংসে নিঃসঙ্গ নাবিকের ভূমিকা পালন করেন বাবর। আর তাই শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি পাকিস্তান। ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে ৬ষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। আর এতেই টানা ৩ ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াল পাকিস্তান। অথচ, এই বাবরের অধীনেই সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...