ব্যাট হাতে তাঁর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কখনো।কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেট পাড়ায় প্রায়শই আলোচনা হয় বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে। ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক হওয়ায় সেই আলোচনার পালে খুব একটা হাওয়া লাগেনি কখনো। কিন্তু পাকিস্তানের অনেক সাবেক ক্রিকেটারই মতামত দিয়েছেন বাবরের অধিনায়কত্বের বিষয়ে।
কেউ কেউ বাবরের অধিনায়কত্বেই ভরসা রাখছেন। আবার কেউ কেউ চাচ্ছেন অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হোক প্রজন্মের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে। এবার সাবেক পাকিস্তান ক্রিকেটার বাসিত আলী বাবরের বদলে তাঁর পছন্দের অধিনায়কের নামও জানিয়ে দিলেন।
একটি সিরিজ হারেই উপমহাদেশের দেশ গুলোতে অধিনায়কের সমালোচনা হওয়াটা নতুন কিছু নয়। ভারত কিংবা পাকিস্তানে কোনো অধিনায়ক টানা ২ টি সিরিজ হারলেই রব ওঠে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেবার। ২০২২ এর শুধু টেস্টে ভালো ছন্দে থাকা পাকিস্তান সম্প্রতি ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কাছে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি সিরিজ হারের পর তাই কাঠগড়ায় বাবরের অধিনায়কত্ব।
সাবকে পাকিস্তান ক্রিকেটার বাসিত আলি মনে করেন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত বাবরের। ব্যাটিং এ আরো মনযোগী হতে পাকিস্তান অধিনায়ককে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পাকিস্তানের হয়ে ৬৯ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাসিত।
তিনি বলেন, ‘অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়া উচিত বাবরের। যদি সে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয় তখন সে অনেক রেকর্ড গড়তে পারবে এবং অনেক গ্রেটদের রেকর্ড ভাঙতে পারবে। অধিনায়কত্ব তাঁর ব্যাটিং পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে। ব্যাটিংয়ে আরো মনযোগী হতে হবে তাঁকে।’
শুধু সমস্যা চিহ্নিত করা নয়। সমাধানও বাতলে দিয়েছেন বাসিত। বাবরের জায়গায় ওয়ানডে আর টেস্টের অধিনায়ক হিসেবে পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকেই যোগ্য মনে করেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টির জন্য অলরাউন্ডার শাদাব খানকে পছন্দ পাকিস্তানের সাবেক এই গ্রেট ক্রিকেটারের।
বাসিত বলেন, ‘শাহিন আফ্রিদির অধিনায়ক হওয়া উচিত। আফ্রিদি যদি ফিট থাকে তাহলে সে দেশকে ওয়ানডে আর টেস্টে নেতৃত্ব দিতে পারে। শাদাব খান হতে পারেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক।’
যদিও অধিনায়ক হিসেবে খুব একটা খারাপ করছেন না বাবর। গত বছরের শেষ দিকে দলকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছেন। তবে ঘরের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের একের পর এক সিরিজ হারে অনেকেই তাই রদবদলের পক্ষে।