জিম্বাবুয়ের জন্য জয়টা বড় ব্যাপার ছিল। দুরন্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে তারা টি-টোয়েন্টিতে। তবে পাকিস্তানের জন্য হতাশাটাও কম নয়। দারুণ ছন্দে থাকা অবস্থায় এই পরাজয় তাদের থমকে দিয়েছে। অধিনায়ক বাবর আজম বলছেন, এই পরাজয়ে পুরো দলই খুব হতাশ।
হারারেতে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯ রানের ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানী বোলাররা জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১১৮ রানে আটকে দেয় এবং মাত্র ১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৯ রানের অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
এই ম্যাচে পাকিস্তানের পক্ষে বাবর আজমের ৪১, দানিশ আজিজের ২২ রান এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৩ রান ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান। এই পরাজয় নিয়ে বাবর আজম বলেন, ‘এটা খুবই বেদনাদায়ক পারফরম্যান্স। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছি। ঠিক সেভাবে আমাদের এখানে বেশ সহজভাবে জিতে যাওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, আমরা খুব বাজে ক্রিকেট খেলেছি এবং মিডল অর্ডারে আমাদেরকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে।‘
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারারেতে মুখোমুখি হয়েছিলো জিম্বাবুয়ে এবং পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ১১৯ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লুক জংউইয়ের বোলিং তোপে পড়ে এক বল বাকি থাকতেই ৯৯ অল আউট হয় পাকিস্তান। এর ফলে ১৯ রানের ব্যবধানে জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
বাবর আজম আরো বলেন, ‘আজকে শুধু মিডল অর্ডার নয় বরং আমাদের ব্যাটসম্যানরা দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারেনি। আজকে দলীয় ভাবে ধস নেমেছে এবং আমরা দল হিসেবে হেরেছি। জিম্বাবুয়ে দলকে ক্রেডিট দিতেই হবে কারণ তাঁরা বেশ দুর্দান্তভাবে সিরিজে ফিরে এসেছে।‘
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৮২ রানে ভর করে ১৪৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। এর ফলে ১১ রানের জয় পায় পাকিস্তান। এই ম্যাচে পাকিস্তান বেশ ধীরগতিতে শুরু করে। প্রথম পাঁচ ওভারে দুই ওপেনার ২১ রান তোলেন। ১২ তম ওভার পর্যন্ত ২ উইকেট ৫৬ রান তোলে পাকিস্তান। এর পর ১৬ তম ওভারে যখন বাবর আজম আউট হয়, তখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৪১ রান। শেষ চার ওভারে ৪১ রান লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য চাপের সৃষ্টি করেছিলো।
বাবর আজম স্বীকার করেন দলের ব্যাটসম্যানদের আরো ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিলো। বাবর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘উইকেট অ্যনদিনের মত একই রকম ছিলো এবং ব্যাটিং সহায়ক ছিলো। যাই হোক এটা কোনো কারণ হতে পারেনা।‘
তিনি আরো বলেন, ‘একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে সব পরিবেশে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে। আমি মনে করি টপ অর্ডারে আমরা ওপেনার হিসেবে ভালো শুরু করতে পারি নি। এরফলে আমাদের মিডল অর্ডার অনেক লড়াই করেছিলো। বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্ট কাছাকাছি এসেছি এবং যতদ্রুত সম্ভব আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। পরবর্তী ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো এবং ভালো একটি কম্বিনেশনও খুঁজে পাবো।‘
সিরিজে ১-১ এ সমতা নিয়ে রবিবার তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুই দল। একই মাঠে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে দুই দলের মধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে।