পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএলের দরজা বন্ধ হয়ে রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। তবে অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজি লিগ গুলোতে তারাই থাকেন চাহিদার শীর্ষে। বিপিএল থেকে বিগব্যাশ কিংবা সিপিএল, এলপিএল— সব খানেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিচরণ থাকে চোখে পড়ার মতো।
সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। একই দলে খেলেছিলেন এ সময়ের পেস বোলিং সেনসেশন নাসিম শাহও। সেই ধারাবাহিকতায় বিপিএলের পরবর্তী আসরে দেখা মিলতে পারে পাকিস্তান কাপ্তান বাবর আজমকেও। আর এ জন্য নাকি তিনি প্রায় ১৫ কোটি রূপির প্রস্তাব প্রত্যাখান করতে চলেছেন।
আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের এবারের আসর। একই সময়ে সাউথ আফ্রিকায় এসএ টি-টোয়েন্টি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি। নতুন লিগ হলেও এ দুটি লিগে ক্রিকেটারদের আর্থিক প্রাপ্তির নিশ্চয়তা অনেক খানি।
কদিন আগেই মোটা অঙ্কের টাকায় তিন বছরের জন্য শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দলে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিগের দল ডেজার্ট ভাইপার্স। জানা গেছে, একই লিগে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বাবর আজমও।
লিগের শুভেচ্ছাদূত ও ক্রিকেটার হিসেবে তিন বছরের জন্য বাবরকে ১৫ কোটি পাকিস্তানি রুপি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে বাবর তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এর বদলে তিনি খেলতে পারেন বিপিএলে।
অবশ্য গত আসরেই সিলেট সিক্সারের হয়ে খেলার কথা ছিল বাবরের। তবে শেষমেশ ব্যাটে বলে মেলেনি। যদিও সর্বশেষ বিপিএল ছিল রীতিমত পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি। শোয়েব মালিক, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ নওয়াজ খেলেছিলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। এছাড়া রিজওয়ান, খুশদিল শাহ, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ ও হাসান আলীরা খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে।