মানকাডিং কাণ্ড, আফগানদের সাথে হাত মেলাননি শাহীন আফ্রিদি!

ক্রিকেটের আদি রীতি অনুযায়ী দুই দলের ক্রিকেটারদের করমর্দনের দৃশ্য চিরায়ত হলেও এ দিন আফগান ক্রিকেটারদের সাথে হাত মেলাতে দেখা যায়নি শাহীন শাহ আফ্রিদিকে।

জয়সূচক বাউন্ডারি তুলে নেওয়ার পর নাসিম শাহ রীতিমত উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন। মাঠের চার পাশ প্রদক্ষিণ করলে গগণ বিদারী চিৎকারে। যেন রীতিমত ক্ষোভের একটা উদগিরণ ঘটাচ্ছেন তিনি। দৃশ্যপটটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের অন্তিম মুহূর্তের।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ ম্যাচে শেষ ২ ওভারে ২৮ রানের সমীকরণেও ম্যাচটা নিজেদের দিকেই টেনে আনছিলেন শাদাব খান। কিন্তু ম্যাচের শেষ ওভারে আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি করে বসেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক কাণ্ড। যদিও তা এখন আর নীতিবিরুদ্ধ কিছু নয়। 

৩৫ বলে ৪৮ রান তোলা শাদাব খানকে নন-স্ট্রাইকে রানআউট করেন ফারুকি। ক্রিকেটের আইনে রানআউট হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগে যেটিকে ‘মানকাডিং’ বলা হতো। আর এতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে পাকিস্তান শিবির।

৪৯তম ওভারের শেষ দুই বলে আবদুর রহমানকে চার ও ছয় মেরে পাকিস্তানের জন্য সমীকরণ নামিয়ে আনেন শেষ ৬ বলে ১১ রানে। তবে পরের ওভারে বল করতে এসেই শাদাবকে মানকাড আউট করেন ফজল হক ফারুকি।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফারুকি একবার হাত ওপরে তুলে ফেলার পপিং ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাওয়া শুরু করেন শাদাব। সতর্ক ফারুকি পপিং ক্রিজের ভেতরে হাত পুরোপুরি ঢোকার আগে স্টাম্প ভেঙে দেন।

শাদাব অবশ্য এমন আউটে আপত্তি জানাননি। তবে মাঠ ছাড়ার আগে তাঁর চোখেমুখে ছিল অসন্তুষ্টির ছায়া। কারণ তাঁর আউটেই নবম উইকেটের পতন হয় পাকিস্তানের ইনিংসে।

স্বীকৃত ব্যাটার ছাড়া তাই তখন শেষ ৬ বলে ১১ রান তুলে নেওয়া বেশ কঠিনই হয়ে পড়ে পাকিস্তানের জন্য। তবে নাসিম আর হারিস রউফ মিলে ঠিকই পাকিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। 

তবে ম্যাচ শেষের পরই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত সব ঘটনা। ক্রিকেটের আদি রীতি অনুযায়ী দুই দলের ক্রিকেটারদের করমর্দনের দৃশ্য চিরায়ত হলেও এ দিন আফগান ক্রিকেটারদের সাথে হাত মেলাতে দেখা যায়নি শাহীন শাহ আফ্রিদিকে।

একই সাথে, আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দনের সময় মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে বাবরকে কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় তাঁর শরীরী ভাষা ছিল বেশ ক্ষুব্ধতায় পূর্ণ। 

যদিও পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অসন্তোষ জানালেও ক্রিকেটের নিয়ম বলে, এটি বৈধ আউটই। বোলার হাত থেকে বল ছাড়ার আগে নন-স্ট্রাইকিং ব্যাটারের পপিং ক্রিজ ছেড়ে যাওয়ার নিয়ম নেই। আর সেই অন্যায্য সুবিধাই নিতে চেয়েছিলেন শাদাব খান।

কিন্তু, ফারুকি তা নস্যাৎ করে দেন। আর এরপর থেকেই ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মত দিচ্ছেন অনেকেই। তবে পাকিস্তান মহলে এই আউটের পরিপ্রেক্ষিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়াই দেখা গিয়েছে বেশি। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...