বাবর আজম পাকিস্তানে তাঁর বাদশাহী সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাদের সাদা বলের অধিনায়ক চূড়ান্ত করেছে। আর সেই মানুষটি হলেন বাবর।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি, এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। প্রশ্ন হল, তাহলে কেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বোর্ডের সম্মতিতে নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাবর? বোর্ডই বা কেন বাবরের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল? ক্ষণে ক্ষণে কেন সিদ্ধান্ত পাল্টায় পিসিবি।
অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেটের এটা চিরায়ত সমস্যা। পিসিবি বস নিশ্চিত করেছেন, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত বাবর আজমের হাতেই থাকছে পাকিস্তানের আর্মব্যান্ড, তবে তিনি এই অধিনায়কত্ব ইস্যুর একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়ার আশা ব্যাক্ত করেছেন।
নাকভি বলেছেন, ‘বাবর আজমের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ প্রসঙ্গে নির্বাচক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, এটুকু বলা যায় ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত তিনিই দলের অধিনায়ক থাকবেন।’
অধিনায়কত্ব ইস্যুর দ্রুত সূরাহা চায় পাকিস্তান। পিসিবি বস বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচক কমিটি কাকে চায়, আর কাকে চায় না, সেটি নির্ভর করবে সম্পুর্ণই তাঁদের ব্যাপার। এখানে আমার কোনো হাত নেই। তবে আমি আশা করবো অধিনায়কত্বের এই সিদ্ধান্তটা যেন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেই নেওয়া হয়।’
জানিযে রাখা ভাল, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ শেষে বাবর আজমকে পাকিস্তানের সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সীমিত ওভারে দায়িত্ব পান শাহীন, দ্রুতই তাঁর ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়। পিসিবির টনক নড়ে।
ফিরিয়ে আনা হয় বাবরকে। আর বাবর দেশের মাটিতে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-২ ড্র করেছেন। আর আপাতত এই বাবরেই আস্থা পিসিবির। দেখা যাক, এই আস্থা কতদিন থাকে!