‘রিয়াল মাদ্রিদ’ হয়ে জিতলো বাংলাদেশ

মোমেন্টাম অবশ্য এসেছিল প্রথমার্ধের শেষদিকে। রাকিব হোসেনের সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে ডি বক্সের কাছাকাছি চলে আসেন মুজিবুর রহমান জনি; এরপর শেখ মোরসালিনের দিকে বাড়ালেন পাস, নিজে খানিকটা স্পেস তৈরি করে নিলেন। মোরসালিনের কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে তাই দুইবার ভাবতে হয়নি তাঁকে, বামপায়ে ডজ দিয়ে ডান পায়ে নিলেন জোরালো শট। 

অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে, লেফট উইং বল পেয়ে একটুখানি দাঁড়ালেন শাহরিয়ার ইমন। কিন্তু না, চোখের পলকে মার্কারকে নাটমেগ করে তিনি আবার ছুটলেন ডি বক্সের দিকে। একেবারে ঠান্ডা মাথায় এরপর কাটব্যাক করেন তিনি, আর বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে তখনি হাজির হন পাপন সিং। গোলপোস্টের ঠিক সামনে থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এনে দেন আরাধ্য গোল।

একটা গোলের জন্য তীর্থের কাকের মত অপেক্ষায় ছিল পুরো বাংলাদেশ, সেই গোলটা এলো ইমন-পাপন জুটির কল্যাণে। তাতেই জয় পেলো টাইগারদের ঘরে, কিংস এরেনায় উড়লো বিজয়ের কেতন। রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে গোল হজম করেও ঘুরে দাঁড়ায় ঠিক সেরকম ঘুরে দাঁড়ালো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

মোমেন্টাম অবশ্য এসেছিল প্রথমার্ধের শেষদিকে। রাকিব হোসেনের সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে ডি বক্সের কাছাকাছি চলে আসেন মুজিবুর রহমান জনি; এরপর শেখ মোরসালিনের দিকে বাড়ালেন পাস, নিজে খানিকটা স্পেস তৈরি করে নিলেন। মোরসালিনের কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে তাই দুইবার ভাবতে হয়নি তাঁকে, বামপায়ে ডজ দিয়ে ডান পায়ে নিলেন জোরালো শট।

চারজন ডিফেন্ডার এবং গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সরাসরি জালে আশ্রয় নিলো তাঁর শট। একেবারে ইউরোপীয়ান স্টাইলে গোল যাকে বলে; এখান থেকে গোল দিবেন বা গোল দিতে পারেন সেই বিশ্বাস দর্শকদের না থাকলেও হয়তো জনির নিজের মধ্যে ছিল। সেজন্যই শট নেয়ার সাহস করেছেন, তাতেই সমতায় ফিরতে পেরেছিল বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে যে কাজটা করতে পারেনি তপু বর্মণরা, সেটাই এ ম্যাচে করলেন। গোল হজম করেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি, উল্টো চাপ বাড়িয়েছেন মালদ্বীপের ওপর। সেটারই ফলাফল, পরবর্তী দুই গোল। যদিও গোলের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারতো। পিয়াস আহমেদ নোভা তো ফাঁকা পোস্টে শট নিতে গিয়ে বাইরে মেরেছিলেন, বাকি স্ট্রাইকাররাও ফাইনাল থার্ডে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন।

তবে প্রতীক্ষিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এটাই স্বস্তি, নতুন চুক্তি না হলে হ্যাভিয়ের কাবরেরার জন্য শেষ ম্যাচ ছিল এদিন। জয় দিয়েই তাঁর শেষটা রাঙিয়ে রাখলো শিষ্যরা।

Share via
Copy link