আশা জাগিয়েও সেই পুরনো ব্যর্থতা

ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হল বাংলাদেশের। হার দিয়েই শেষ হল পরীক্ষা নিরীক্ষার ত্রিদেশীয় সিরিজ। নিউজিল্যান্ড সফরে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারল সাকিব আল হাসানের দল। এই নিয়ে সিরিজের চার ম্যাচে দু’টিতে প্রথমে ব্যাটিং আর বাকি দুই ম্যাচে শেষে ব্যাটিং করে হারলো বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড থেকে হেরে ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে পড়লে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায়। ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে সাকিব আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আগের দিনই দল নিয়ে পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া সাকিব এদিন একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামেন।

মোসাদ্দেক হোসেন, এবাদত হোসেনের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান তাসকিন আহমেদ আর হাসান মাহমুদ।ওপেনিংয়ে এদিন আবারও পরিবর্তন, নাজমুল হোসেন শান্ত-সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে নিজেদের নামের মতোই রয়ে সয়ে শুরু করলেন। তৃতীয় ওভারে সৌম্য নাসিম শাহের বলে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

নবম বলে রানের খাতা খোলা শান্ত ১৫ বলে ১২ করে ফিরে যান রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর শুরু হয় সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৫ বলে ৮৮ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার।পায়ের ক্র্যাম্পে ভোগা সত্ত্বেও ৪২ বলে ৬ চার আর ২ ছয়ে নান্দনিক ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস।

লিটনের আউটের পর সাকিব দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। ৪২ বলে ৬৮ করে সাকিব নাসিম শাহের বলে আউট হলে শেষ দিকে আর কেউ ব্যাট হাতে ভাল করতে না পারায় ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৩ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

১৭৩ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে শুরু করে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথে রানের গতিও বাড়িয়ে নেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ইনিংসের ১০.৪ ওভারে দলীয় ৭৮ রানে শরীফুলের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

১৩ তম ওভারে হাসান মাহমুদ এক বলের ব্যবধানে বাবর আজম আর হায়দার আলীকে তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার আশা জাগে সাকিবদের। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজ আর রিজওয়ান মিলে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশকে হতাশ করে।

শেষ দিকে ১৯তম ওভারে সৌম্য সরকার রিজওয়ানকে তুলে নিয়ে ম্যাচে কিছুটা প্রাণ ফিরিয়ে আনলেও তবে এরপর মোহাম্মদ নওয়াজের বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ে ১৯.৪ ওভারে জয়ের নোঙরে পৌঁছায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে বাবর আজম ৪০ বলে ৫৫, রিজওয়ান ৫৬ বলে ৬৯ আর নাওয়াজ ২০ বলে ৪৫ রান করেন।

বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন। আবারও কাঠগড়ায় তোলাই যায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। তিন ওভার পাঁচ বল বোলিং করে তিনি কোনো উইকেট না পেয়ে রান গুণেছেন ৫৩টি। সাথে একটা ক্যাচ মিস। এগুলা বাদ দিলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link