রিশাদকে বাজিয়ে দেখা হবে?

কার্যত 'উইনিং কম্বিনেশন' নামক একটা টার্ম বেশ প্রচলিত। সেটা ভাঙতে নিশ্চয়ই চাইবেন না সাকিব আল হাসান। তবে একটা পরিবর্তন বেশ প্রয়োজন।

কি এক রোমাঞ্চকর ম্যাচ! অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা এমন রোমঞ্চকর ম্যাচ দেখেই অভ্যস্ত। তবুও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে জয় পাওয়া গেছে, করিম জানাতের হ্যাটট্রিক ফিকে হয়েছে। বাংলাদেশের একাদশটা দারুণই করেছে।

দ্বিতীয় ম্যাচটায় তাই বাংলাদেশ জিতে নিতেই চাইবে। তাতে অন্তত, আফগানিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের যে বিস্তর ফারাক, তা কমে আসবে। কিন্তু সেই ম্যাচের আগে আলোচনা হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ নিয়ে।

কার্যত ‘উইনিং কম্বিনেশন’ নামক একটা টার্ম বেশ প্রচলিত। সেটা ভাঙতে নিশ্চয়ই চাইবেন না সাকিব আল হাসান। তবে একটা পরিবর্তন বেশ প্রয়োজন। সেটা হাসান মাহমুদের অন্তর্ভুক্তি। গেল ম্যাচে ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা বেশ ভুগেছে। কার্যত বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডেথ বোলিংয়ের গুরু দায়িত্বটা এখন হাসানের কাঁধেই থাকে।

তার অবর্তমানে শেষের ৫ ওভারে টাইগার বোলাররা রান খরচা করেছে ৬০। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে পৌঁছানোর কোন প্রয়োজনই হয়ত পড়ত না। কেননা শুরুর দিকে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ বোলিং করে চাপে রেখেছিলেন। নিয়ম করে উইকেট নিয়েছেন আফগানদের।

তবে শেষ দিকে খেই হারিয়ে ফেলেন। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একাদশে হয়ত শরিফুলকে ছাড়তে হবে তার জায়গা। শুরুর দিকে উইকেট বাগিয়ে নিতে পারলেও, শরিফুল বেশ খরুচে বোলার। একটা পরিবর্তন আসলে সেক্ষত্রে তাকেই হয়ত ছেড়ে দিতে হতে পারে জায়গা। তাছাড়া বাংলাদেশের পেস আক্রমণে এখন দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের আনাগোনা। দু’টো পরিবর্তন এসে গেলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

সেক্ষেত্রে তাসকিনকেও হয়ত বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, শরিফুলের পরিবর্তে একাদশ থেকে বিশ্রাম মিলতে পারে মুস্তাফিজেরও। সেখানে আবার কারণ হিসেবে দাঁড় করানো যায়, বাউন্সের বিপক্ষে আফগানদের দূর্বলতা। সুতরাং বাংলাদেশের পরিবর্তন এলে তা আসবে পেস আক্রমণেই। সেটা নিশ্চিত।

অন্যদিকে, দলে একমাত্র লেগস্পিনার হিসেবে রয়েছেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশ দলে লেগ স্পিনার নেই। সেই আক্ষেপটা বহুদিন ধরে। তবে লেগস্পিনাররা নিজেদের মেলে ধরবার সুযোগটুকু পান না, সেটাও নিশ্চয়ই অজানা নয়। সাকিব বেশ আক্রমণাত্মক অধিনায়ক। তিনি হয়ত তাই শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে একাদশে সুযোগ করে দিতে পারেন রিশাদকে।

সেক্ষেত্রে নাসুম আহমেদকে ছেড়ে দিতে হতে পারে তার জায়গা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কেননা নাসুম  যথেষ্ট ভালই করেছেন বল হাতে। আরও একটি পরিবর্তন হতে পারে লোয়ার মিডল অর্ডারে। সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে একাদশে আসতে পারেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের সাত নম্বর পজিশনের জন্য বেশ ভালভাবেই পরিকল্পনায় আছেন আফিফ। তার ব্যাটিংটা দেখা প্রয়োজন। যদিও ওয়ানডে দলে পাওয়া সুযোগগুলো খুব একটা কাজে লাগাতে পারেননি আফিফ। সে কারণে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করলে আবার বোলিং বিকল্প কমে যাবে বাংলাদেশের। যদিও পার্টটাইমার হিসেবে আফিফ, শান্তরা হাত ঘুরাতে জানেন।

সুতরাং পরিবর্তন আসলেও বড় জোর তা একটি অথবা দু’টি। এখন দেখার পালা প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের আত্মবিশ্বাসে বাংলাদেশ দলে বেশ কিছু পরিবর্তন হয় কি-না। যেহেতু ২০২৪ টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছেন সাকিব, তাই দলের প্রতিটা খেলোয়াড় সম্পর্কেই তার ধারণা থাকা চাই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...