সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ১০৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। দল এমন পারফরম্যান্স করার পরেও অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন এখনো নিখুঁত খেলা খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।
গত ম্যাচে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আজও ৭৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটিতে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচ জিতিয়েছেন বোলাররা। দুই ম্যাচেই দারুণ বল করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ম্যাচ শেষে তামিম প্রশংসা করেছেন তিন জনেরই।
তিনি বলেন, ‘ভাগ্যবান যে দুটি ম্যাচ জিতেছি। তবে আমরা এখনো নিখুঁত খেলা খেলিনি। মাঝখানে আমরা অনেক উইকেট হারিয়েছি এবং ২০০ রান হওয়া কঠিন মনে হচ্ছিল। তবে মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিক খুব ভাল খেলেছে। আমরা একটি ভালো সংগ্রহ পেয়েছি, তবে আমার মনে হয় বোলিং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মেহেদি দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আমাদের বোলিং ও ফিল্ডিং আজ দুর্দান্ত ছিল, তবে আমরা এখনো নিখুঁত পারফরম্যান্স করতে পারিনি।’
আগের ম্যাচের মতোই শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার পর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তায় লড়াই করার পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি মিস করলেও আজ সেঞ্চুরি করা মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৫ রান। দুই ম্যাচেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। তাই সামনে থেকে অবদান রাখার জন্য খুশি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
তিনি বলেন, ‘সামনে থেকে অবদান রাখতে পারা দুর্দান্ত ছিল, তবে আমি শেষ ১১ বলে না খেলতে পারায় হতাশ হয়েছি। মাহমুদউল্লাহ ভালো ব্যাটিং করেছে এবং আজ বোলিংয়ে প্রচেষ্টা ছিল দেখার মত। তবে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে আমরা উন্নতি করতে পারি। আমাদের নির্ভয়ে খেলা দরকার। আশা করি আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই ম্যাচ থেকে কিছু শিখে পরবর্তী ম্যাচে আরো ভাল করে ফিরে আসবে, কারণ এটি ব্যাট করার জন্য সহজ উইকেট নয়।’
দুই ম্যাচেই মোটামুটি সহজ লক্ষ্যই পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দুটি ম্যাচই হারতে হয়ে সফরকারীদের। প্রথম ম্যাচে ১০২ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর আজ ১০৪ রানে টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যান হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এটাকে হতাশাজনক বলছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশাল পেরেরা।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। দুটি ম্যাচেই অভিজ্ঞতার অভাবে আমাদের মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের একটা সিরিয়াস কথা বলা দরকার। সবার ফিরে আসতে হবে এবং সবার শক্তিতে বিশ্বাস রাখতে হবে এবং নির্ভয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে।’