বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য লেগ স্পিন সামলানো যে কোন কন্ডিশনেই কঠিন একটা কাজ। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারেন শ্রীলঙ্কান লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাই তাঁকে নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন বাংলাদেশ দলের ভিডিও বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর।
বাংলাদেশ লেগ স্পিনে দূর্বল কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে মান সম্মত লেগ স্পিন খেলে অভ্যস্ত নন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এই দূর্বলতার সুযোগই হাসারাঙ্গাকে দিয়ে নেবে শ্রীলঙ্কা। লেগ স্পিনের সাথে মিডল অর্ডারে ব্যাটও করেন এই স্পিনার। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে সরাসরি জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই ওয়ানডে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি।
অন্য সব লেগ স্পিনারের থেকে একটু আলাদাও হাসারাঙ্গা। লেগ স্পিনাররা টার্ন পাওয়ার জন্য সাধারণতো মাঝের আঙুল ব্যবহার করেন। আর তখন বল করার সময় হাত পিছন থেকে সামনে এনে বল ডেলিভারি দেন। যার কারণে ব্যাটসম্যানরা বোলারের বলের গ্রিপ ও হাতের পিছন দেখে খেলার চেষ্টা করেন।
কিন্তু এখানেই আলাদা এই স্পিনার। তিনি বল করার সময় হাত সামনে দৃশ্যমান থাকে। কোন ডেলিভারিতেই হাত পিছনে নেন না তিনি। এর পরিবর্তে মাঝের আঙুল ঘুরিয়ে বল করেন হাসারাঙ্গা। আর এরকম বোলিং অ্যাকশনের জন্য ব্যাটসম্যানের বুঝতে সমস্য হয়।
ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়ার মত দক্ষতা তার রয়েছে। তবে ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা চাইলেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে সফল হতে পারবেন তার বিপক্ষে।
তিনি বলেন, ‘হাসারাঙ্গা, জাম্পা এবং রশিদ প্রায় একই রকম; লেগিরা এখন গুগলি করে। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য লেগ স্পিনারকে গুগলি বোলার হিসাবে খেলা সবচেয়ে ভালো। কারণ এভাবেই তারা বেশি উইকেট পায়। যদি আমরা এই সিরিজে তাকে উইকেট না দেই তাহলে আমরা ভাল রান সংগ্রহ করব। যদি তার হাত দেখে বল বাছাই না করেন, তবে বল ঘোরানোর পর দেখতে হবে এবং যদি আপনি সেটিও না পারেন তবে গুগলি বোলার হিসাবে খেলতে হবে। সমীকরণ থেকে বের হয়ে যাওয়ার দুটি উপায় পাচ্ছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা।’
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে রশিদ খানকে ঘনিষ্ঠ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা শ্রীনিবাস এখন ভারতেই রয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে দলের সাথে যোগ দেবেন না তিনি। তবে দেশে বসেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করছেন এই ভিডিও বিশ্লেষক।
ঈদের ছুটি শেষে আজ থেকে অনুশীলন শুরু করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তিন দিন অনুশীলন করার পর ২০ মে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপির) ৪ নম্বর মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর সিরিজ শুরুর আগে আবার দুই দিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন স্বাগতিক ক্রিকেটাররা।
আগামী ২৩ মে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। একই ভেন্যুতে ২৫ মে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার পর ২৮ মে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।