মেহেদী হাসান রানা ও শফিকুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১০ রানে হারিয়ে ফাইনালে সাকিবদের ফরচুন বরিশাল। টানা সাত জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বরিশাল!
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মুনিম ও গেইল ঝড়ে ওপেনিং জুটিতেই ৫৮ রান তুলে ফরচুন বরিশাল। দলীয় ৫৮ রানে গেইল ফিরলেও মুনিমের ব্যাটে দ্রুত এগোতে থাকে বরিশাল।
এরপর দলীয় ৮৪ রানে ৩০ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৪৪ রানে মুনিম ফিরলে একই ওভারে নাজমুল শান্তর সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন সাকিব! টানা পাঁচ ম্যাচে ম্যাচ সেরা হওয়া সাকিব ফিরেন মাত্র ১ রানে! পরের ওভারেই আউট নাজমুল শান্ত! দ্রুতই ফিরেন তৌহিদ হৃদয়ও! টানা উইকেট হারিয়ে ৯৪ রানেই দলের ৫ উইকেট শেষ।
হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর জিয়াউর রহমান আর ডোয়াইন ব্রাভোর ব্যাটে লড়াই করার মতো পুঁজি সংগ্রহ করলেও কুমিল্লার বোলারদের বোলিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। শেষদিকে জিয়া ও ব্রাভো দু’জনেই করে ১৭ রান করে! কুমিল্লার পক্ষে শহিদুল ইসলাম ৩ ও মঈন আলী শিকার করেন ২ উইকেট।
সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাসের ব্যাটে দারুন সূচনা করে কুমিল্লা। ওপেনিং জুটিতেই আসেই ৬২ রান! উইকেট না হারালেও রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি লিটন-জয়রা।
দলীয় ৬২ রানে মেহেদি হাসান রানার বলে বোল্ড হয়ে জয় ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। পরের ওভারেই শফিকুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আউট ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস! মূহুর্তেই পালটে যায় ম্যাচের চিত্র! ৬২ রানে বিনা উইকেট থেকে ৬৮ রানেই শেষ তিন টপ অর্ডার ব্যাটার।
এরপর মঈন আলী ও ফাফ ডু প্লেসিসের পালটা আক্রমণে আবার ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা! শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিলো ৪৬ রানের! এরপর ব্রাভোর প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে দুর্দান্ত ইয়োর্কারে বোল্ড মঈন! ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ২২ রানের ক্যামিও শেষে আউট হন মঈন। তবে ফাফ তখনো ক্রিজে, সাথে যোগ দেন আরেক ক্যারিবিয়ান সুনিল নারাইন।
শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিলো ৩৫ রানের। ১৭তম ওভারে রানা দেন মোটে ৩ রান! ১৯ তম ওভারে সুনিল নারাইনের ক্যাচ ব্রাভো মিস করলেও পরের বলেই ফাফ ডু প্লেসিসকে ফিরান রানা! রানার দাপুটে বোলিংয়ের পর শেষ ওভারে জিততে কুমিল্লার দরকার ছিলো ১৮ রানের। মুজিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০ রানের জয়ে ফাইনালে বরিশাল!
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল – ১৪৩/৮ (২০ ওভার); মুনিম ৪৪(৩০), গেইল ২২(১৯), জিয়া ১৭(১২), ব্রাভো ১৭(২১); শহিদুল ৩-০-২৫-৩, মঈন ৪-০-২৩-২, নারাইন ৪-১-১৬-১।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – ১৩৩/৭ (২০ ওভার); লিটন ৩৮(৩৫), মঈন ২২(১৫), প্লেসিস ২১(১৫); রানা ৩-০-১৫-২, শফিকুল ৪-০-১৬-২, মুজিব ৪-০-৩৩-২, ব্রাভো ৪-০-২৬-১।
ফলাফলঃ ফরচুন বরিশাল ১০ রানে জয়ী।