শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখলো সিলেটবাসী, তিন পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের দাপুটে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টির প্রকৃত স্বাদ পাওয়া গেলো ফরচুন বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্সের ম্যাচে। যদিও রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে মিরাজের ৩১ আর মালিকের ৪১ রানের ক্যামিওতে ভর করে পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।
আগে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্সের শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারেই আউট হয়েছিলেন অধিনায়ক এনামুল হক। তিন নম্বরে সুযোগ পাওয়া হাবিবুর রহমান সোহান পারেননি ভরসার প্রতিদান দিতে। তবে এই বিপিএলে প্রথম খেলতে নেমে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন পারভেজ ইমন, আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।
এই বাঁ-হাতি ওপেনার হওয়ার পরই ধ্বস নামে খুলনার ব্যাটিং লাইনআপে। আফিফ হোসেন, মাহমুদুল হাসান জয়, দাসুন শানাকাদের কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ৮৮ রানে সাত উইকেটের পতন ঘটে, শঙ্কা জাগে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার।
কিন্তু দুই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ আর ফাহিম আশরাফ নবম উইকেটে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন। মাত্র ২৪ বলের ব্যবধানে স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান যোগ করেন তাঁরা। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩৮ ও ৩২ রানের ক্যামিও। তাতেই ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় নাসুম, নাহিদুলরা।
রান তাড়া করতে নামা বরিশালকে অবশ্য প্রথম থেকেই চেপে ধরেন বোলাররা। কোন রান না করেই আউট হন ইনফর্ম মোহাম্মদ শেহজাদ, তামিম ইকবাল ফেরেন ১৮ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে। টপ অর্ডারে খেলতে নামা সৌম্য সরকার চেষ্টা করেছেন দলকে ভাল অবস্থানে পৌঁছে দেয়ার, কিন্তু তাঁকেও থামতে হয় ২৬ রানে।
মিডল ওভারে হাল ধরেন মুশফিক আর শোয়েব মালিক। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের দিকে ধীরে ধীরে এগুতে থাকে বরিশাল। যদিও মুশফিক মাহমুদউল্লাহ দুজনে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দলকে বিপদের মুখে রেখে। তবে মেহেদি মিরাজের দুর্ধর্ষ পাওয়ার হিটিংয়ে অসম্ভব এক সমীকরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় তামিমরা।
শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮ রান, উইকেটে তখন মিরাজ আর মালিক। এই দুজনকে আটকে রাখতে পারেননি শানাকা; ফলে দুই বল বাকি থাকতেই পরাজয়ের স্বাদ পায় বিজয়ের দল।