সাগরিকায় রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে মুশফিকের খুলনা টাইগার্সকে ৬ রানে হারিয়ে অসাধারণ এক জয় তুলে নিয়েছে সাকিবদের ফরচুন বরিশাল।
১৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাকিব ও ব্রাভোর দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে পড়ে যায় খুলনা। আন্দ্রে ফ্লেচার, সৌম্য সরকার, রনি তালুকদার, থিসারা পেরেরার কেউই খেলতে পারেনি বড় ইনিংস। এক ওভারেই দুই উইকেট নেন ব্রাভো। এরপর পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সাথে জুটি বেঁধে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান ইয়াসির আলি রাব্বি।
দু’জনে মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৫০ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত জুটি। এরপর দলীয় ১৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস শেষে মুশফিক ফিরলে তখন চাপের মুখে খুলনা। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ইয়াসির তুলে নেন দাপুটে ফিফটি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিলো ২১ রানের, ক্রিজে তখন ইয়াসির আলি ও সিকুগে প্রসন্ন। ব্রাভোর অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে ৬ রানের জয় পায় বরিশাল।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। এদিন ওপেনিংয়ে নামেন ক্রিস গেইল ও ডোয়াইন ব্রাভো। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে বরিশাল। ব্রাভো, গেইল, তৌহিদ হৃদয়য়ের দ্রুত বিদায়ে মাত্র ২৪ রানে ৩ উইকেট নেই বরিশালের। এরপর নাজমুল শান্ত ও সাকিব আল হাসানের ৫৮ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত জুটিতে ম্যাচে ফিরে বরিশাল। বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে না দেখতেই সাকিব, শান্তদের বিদায়ে আবারো ব্যাকফুটে বরিশাল।
২৭ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৪১ রানের ইনিংস শেষে সাকিব ও শান্ত ফিরেন ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রানে। ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে বরিশাল। এরপর জিয়াউর, ইরফান শুক্কুরদের দ্রুত হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৭ বল বাকি থাকতে মাত্র ১৪৫ রানেই গুড়িয়ে যায় বরিশালের ইনিংস। দলের পক্ষে শান্ত সর্বোচ্চ ৪৫ ও সাকিব করেন ৪১ রান। খুলনার পক্ষে খালেদ আহমেদ ৩টি ও কামরুল ইসলাম নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ফরচুন বরিশাল – ১৪৫/১০ (১৮.৫ ওভার); শান্ত ৪৫(৪০), সাকিব ৪১(২৭); খালেদ ৪-০-৪১-৩, কামরুল ৩-০-২৫-২, রেজা ১.৫-০-১৪-২।
খুলনা টাইগার্স – ১৩৯/৬ (২০ ওভার); ইয়াসির ৫৭(৩৪)*, মুশফিক ৩৩(২২); সাকিব ৪-০-১০-২, ব্রাভো ৪-০-৪০-৩, মুজিব ৪-১-১৩-০।
ফলাফলঃ ফরচুন বরিশাল ৬ রানে জয়ী।