স্লথ ইনিংস গড়ার কারিগর

টেস্ট ক্রিকেটে গেইল, হেইডেন, শেবাগদের দেখা যায় ঝড় তুলতে। কিন্তু এদের সংখ্যাটা টেস্টে কম। টেস্ট মূলত তারাই বেশী খেলেন, যারা এখানে লম্বা সময় ধরে রানের চিন্তা খুব না করেও পড়ে থাকতে পারেন। এখানে চেতেশ্বর পুজারা, রাহুল দ্রাবিড়দের আলাদা একটা জায়গা আছে। তারা এখানে বোলারদের নিশ্বেস করতে ব্যাটিং করেন। 

বেশিরভাগ সময়ে টেস্ট ক্রিকেট একটি মানসিক খেলা।

এখানে ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য থাকে কিভাবে বোলারকে মানসিকভাবে দূর্বল করে দেয়া যায়। এর জন্য ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করেন ঘন্টার ঘন্টার উইকেটে পড়ে থেকে রান করার। সাথে নিজের ইনিংসেই আস্তে আস্তে বড় করে তোলেন। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই  সংস্করণে বড় ইনিংস খেলার প্রবণতা বেশি। এর জন্য প্রচুর ধৈর্য্যের প্রয়োজন।

টেস্ট ক্রিকেটে গেইল, হেইডেন, শেবাগদের দেখা যায় ঝড় তুলতে। কিন্তু এদের সংখ্যাটা টেস্টে কম। টেস্ট মূলত তারাই বেশী খেলেন, যারা এখানে লম্বা সময় ধরে রানের চিন্তা খুব না করেও পড়ে থাকতে পারেন। এখানে চেতেশ্বর পুজারা, রাহুল দ্রাবিড়দের আলাদা একটা জায়গা আছে। তারা এখানে বোলারদের নিশ্বেস করতে ব্যাটিং করেন।

মাঝে মাঝে যখন ব্যাটসম্যানরা অনেক বড় বাঁধার সৃষ্টি করে তখন বোলারদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। খুব সময় নিয়ে ধীর গতির ইনিংস প্রায়শই টেস্ট ক্রিকেটে দেখা যায়। সবচেয়ে ধীর গতির পাঁচটি ইনিংসের ইতিহাস দেখা যাক।

  • ড্যামিয়েন মার্টিন (অস্ট্রেলিয়া)

ড্যানিয়েন মার্টিন; অস্ট্রেলিয়ান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৯৯৪ সালে সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ধীর গতির একটি ইনিংস। যেখানে তিনি ১০৬ মিনিট ব্যাটিং করেন। ১০৬ মিনিটে মোকাবিলা করেন ৫৯ বল। ৫৯ বলে দেখা পেয়েছিলেন মাত্র ৬ রানের। যার মধ্যে একটি ছিলো চারের মার। এই ইনিংসে তার স্ট্রাইকরেট ছিলো ১০.১৬।

  • মনসুর আলী খান পতৌদি (ভারত)

ভারতের সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক ছিলেন মনসুর পতৌদি। অধিনায়ক পতৌদি ১৯৭৩ সালে মুম্বাই টেস্টে ইংলিশদের বিপক্ষে ধীর গতির একটি ইনিংস খেলেন। সেই ইনিংস খেলতে সময় নেন ১০২ মিনিট। ১০২ মিনিটে মোকাবিলা করেন ৮৪ বল।

৮৪ বল  মোকাবিলায় রান করেন মাত্র ৫। এই ইনিংসে পতৌদির স্ট্রাইক রেট ছিলো মাত্র ৫.৯৫। যা কিনা সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করার রেকর্ড।

  • জিওফ মিলার (ইংল্যান্ড)

জিওফ মিলার ছিলেন একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনি ১৯৭৯ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ক্রিজে টিকে ছিলেন ১২৩ মিনিট। ১২৩ মিনিটে বল খেলেন ১০১ টি। ১০১ বল খেলে রান করেছিলেন মাত্র ৭ রান। এই ইনিংসে মিলারের স্ট্রাইক রেট ছিলো ৬.৯৩।

  • স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)

স্টুয়ার্ট ব্রড ধীরগতির ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েন ২০১৩ সালে অকল্যান্ডে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে ক্রিজে ছিলেন ১৩৭ মিনিট। এতো দীর্ঘ সময়ে খেলেছিলেন ৭৭ বল। ৭৭ বল খেলে রান করেন মাত্র ৬। যার মধ্যে একটি চারের মার ছিলো। এই ইনিংসে ব্রডের স্ট্রাইকরেট ছিলো ৭.৭৯।

  • রসি ভ্যান ডার ডুসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)

এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ধীর গতির ইনিংস খেলার ঘটনা ঘটান ২০১৯ সালে। ১৯৪ মিনিট ক্রিজে থেকে খেলেন ১৪০ বল। দুইটি চারের সাহায্যে রান করেন ১৭। ১৭ রানের এই ইনিংস খেলেন কেপটাউনে ইংলিশদের বিপক্ষে। ইংলিশদের বিপক্ষে এই ইনিংসে তার স্ট্রাইকরেট ছিলো ১২.১৪।

টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্য্যের খেলা। এখানে টিকে থেকে রান করাটাই ব্যাটসম্যানদের মূল উদ্দেশ্য। যাদের কথা বলা হল তারা টিকে ছিলেন ঠিকই কিন্তু রান করতে পারেননি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...