এবারের বিশ্বকাপটা একরকম দুঃস্বপ্নের মতোই কেটেছে বাংলাদেশের। ১০ দলের বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে ভারতে পাড়ি জমালেও সেই অভিযান শেষ হচ্ছে তলানির দিকে থেকেই। হতশ্রী বিশ্বকাপ পর্বের শেষ দিকে এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের অংশ নিশ্চিত করার দিকেই চোখ টাইগারদের।
ভারত বিশ্বকাপকে সাকিবসহ মুশফিক, রিয়াদদের শেষ বিশ্বকাপই বিবেচনা করা হচ্ছিল। বিশ্বকাপ অভিযানের শেষ মুহূর্ত গড়াতেই তাই সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মূলত ভবিষ্যৎ নেতৃত্বসহ দল ঢেলে সাজাতে এখনই সাকিব, তামিমদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সাকিব অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরই তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নিবেন। এ সময়কালে তিনি একটা করে ফরম্যাট থেকে গুঁটিয়ে নিবেন। সাকিবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিসিবি অবগত থাকলেও ধোঁয়াশা রয়েছে তামিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে তামিম খেলছেন না, তা জানা গিয়েছেন দিন দুয়েক আগেই। মূলত প্রস্তুতি স্বল্পতার জন্যই তিনি খেলবেন না।
তবে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তামিম কী ভাবছেন, তা এখনো পরিস্কার নয় বিসিবির কাছে। ক’দিন আগে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে, আর কখনো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলবেন কিনা, তাই নিয়েই নিজের শঙ্কা জানিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে তামিমের আবারো খেলার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশার জালেই আটকে থাকছে।
এ দিকে আঙুলের ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলবেন না সাকিবও। এ নিয়ে বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, সাকিব ইনজুরির কারণে থাকছে না সামনে সিরিজে। তবে এ সময়ের মধ্যে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে হবে। সাকিব কতদিন নেতৃত্বে থাকতে চায়, কোন ফরম্যাটে সামনে খেলবে- এই ব্যাপার গুলো এখনই জানা দরকার।
এবারের বিশ্বকাপে সময়টা মোটেই ভাল যায়নি টাইগার কাপ্তান সাকিবের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যদিও অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। তবে সে ম্যাচ বাদে বাকি ৬ ম্যাচের একটিতেও ছন্দে ছিলেন না সাকিব। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে ১৮৬ রান ও ৯ উইকেট পেয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
অবশ্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে রিয়াদ বাদে আসরজুড়ে কেউই ধারাবাহিক ছিলেন না। টুর্নামেন্টের শুরুতে মুশফিক ব্যাট হাতে ছন্দে থাকলেও শেষ ৪ ম্যাচের ৩ টিতেই ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়ে।