নিজের জিম সেশনের ভিডিও কিংবা ফিটনেস নিয়ে কোন স্ট্যাটাস সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রায়ই শেয়ার করতে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। সম্প্রতি এশিয়া কাপ উপলক্ষে আয়োজিত ইয়ো ইয়ো টেস্টে নিজের করা স্কোর প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে অবশ্য ক্ষতিই হয়েছে বিরাটের; ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিরাট কোহলির আলোচিত এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) তাঁকে সহ দলের অন্যদের মৌখিকভাবে সতর্ক করেছে। ফিটনেস টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করতে ক্রিকেটারদের অনুরোধ করে সংস্থাটি।
দিন কয়েক পরেই এশিয়া কাপ; পূর্বপ্রস্তুতির লক্ষ্যে তাই ছয় দিনের ফিটনেস ক্যাম্প শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া। বেঙ্গালুরুর সেই ক্যাম্পেই ইয়ো ইয়ো টেস্টে অংশ নিয়ে নিজেদের ফিটনেস যাচাই করে নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। আর সেই টেস্টে ১৭.২ স্কোর করেন বিরাট কোহলি।
সদা ফিটনেস সচেতন বিরাট কোহলি হয়তো নেটিজেনদের ফিটনেসের ব্যাপারে আরো অনুপ্রেরণা দিতেই ফলাফল জানিয়ে দেন। কিন্তু বিসিসিআই এসব তথ্য একেবারেই সাধারণ ভক্ত-সমর্থকদের সামনে আনতে চায় না। সেজন্যই এ ব্যাপারে বিসিসিআই দ্রুত নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। মূলত কোহলির এমন পোস্ট কেন্দ্রীয় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, তাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এমন ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিসিসিআইয়ের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র বলেছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যেকোনও গোপন বিষয় পোস্ট করা এড়ানোর জন্য খেলোয়াড়দের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তারা ট্রেনিং সেশনের ছবি পোস্ট করতে পারে কিন্তু টেস্ট স্কোর পোস্ট করলে সেটা চুক্তির ধারা লঙ্ঘনের কাতারে পড়ে।’
গোপনীয় তথ্য নেট দুনিয়ায় শেয়ার করে ভুল করলেও ফিটনেস টেস্টে বরাবরের মতই নিজের সেরাটা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। টিম ম্যানেজম্যান্ট ১৬.৫ স্কোরকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরেছিল, কোহলি সেটা উতরে গিয়েছেন অনেক সহজেই। এমনিতে তো বটেই, এই ইয়ো ইয়ো টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতেও তাই ভারতের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার বলা যায় তাঁকে।