পাকিস্তানের পেসত্রয়ী, আগ্রাসন যাদের রন্ধ্রে

প্রথম ইনিংস দেখে যারা হাম্বানটোটার উইকেটকে স্পিনস্বর্গ ভেবেছিলেন, তাদের ভুল বানিয়ে নিজেদের সক্ষমতার শতভাগ প্রমাণ করে সেই উইকেটকেই পেসারদের জন্য স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেন শাহিন-নাসিম-রউফ পেসত্রয়ী। পাকিস্তানের এমন ভয়ঙ্কর পেস শক্তির আগ্রাসন চোখ এড়ায়নি জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকর হার্শা ভোগলেরও।

হাম্বানটোটায় লড়াইটা হলো মূলত স্পিন বনাম পেস শক্তির। রশিদ,মুজিব,নবীর স্পিনবিষে নীল হয়ে মাত্র ২০১ রানেই অলআউট পাকিস্তান। আফগানিস্তানের সামনে তখন ইতিহাস গড়ার হাতছানি।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে একদিনের ক্রিকেটে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ। তবে আফগানদের জন্য সে সব আয়োজন ম্লান হয়ে গেল পাকিস্তানের ‘শাহীন-নাসিম-রউফ’ নামক ভয়ঙ্কর পেসত্রয়ীতে।

পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে শাহীন, নাসিম, রউফদের পেসের সামনে এ দিন যেন দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৯ রানে। ফলত, জয়ের কাছে যাওয়া তো দূরে থাক, ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জাতে পড়ে যায় আফগানরা।

পাকিস্তানের হয়ে এ ম্যাচে একাই ৪ উইকেট নেন হারিস রউফ। আর শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ মিলে নেন আরো ৩ টি উইকেট। অর্থাৎ ১০ উইকেটের মধ্যে ৮ টি উইকেটই নেন পেসাররা। অথচ পাকিস্তানের ইনিংসে ৮ টি উইকেটই তুলে নিয়েছিলেন আফগান স্পিনাররা।

অর্থাৎ প্রথম ইনিংস দেখে যারা হাম্বানটোটার উইকেটকে স্পিনস্বর্গ ভেবেছিলেন, তাদের ভুল বানিয়ে নিজেদের সক্ষমতার শতভাগ প্রমাণ করে সেই উইকেটকেই পেসারদের জন্য স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেন এই শাহিন-নাসিম-রউফ পেসত্রয়ী।

পাকিস্তানের এমন ভয়ঙ্কর পেস শক্তির আগ্রাসন চোখ এড়ায়নি জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকর হার্শা ভোগলেরও। এ তিন পেসার যে অন্যান্য দল গুলোর জন্য পরবর্তীতে আতঙ্কের কারণ হতে পারেন, তা জানিয়ে একটি টুইট করেন তিনি।

সেখানে তিনি লিখেন, ‘পাকিস্তান তাদের ফাস্ট বোলিং দিয়ে একটা বার্তা দিচ্ছে। অন্যান্য দল গুলোর জন্য যেটা স্বাভাবিক নয়, সেটাই এই ত্রয়ী ডালভাত বানিয়ে ফেলছে। সত্যিই দুর্দান্ত।’

হার্শা ভোগলে অবশ্য ভুল কিছু বলেননি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তানের পেস বোলিং লাইন আপ ২৭ গড়ে বোলিং করে যাচ্ছে। যা এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১০ দেশের মধ্যে সেরা।

পাকিস্তান দলকে অবশ্য আগামী কয়েক মাস ব্যস্ত সময়ের মধ্যে থাকতে হবে। বলা যেতে পারে, কিছুটা দৌড়াদৌড়ির মধ্যেই থাকতে হবে তাদের। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কায় আছে বাবর আজমের দল।

২৬ আগস্টে সেই সিরিজ শেষেই তাদের পাকিস্তানগামী বিমান ধরতে হবে। কারণ আগামী ৩০ আগস্ট মুলতানে নেপালের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ।

তবে এশিয়া কাপের সিংহভাগ অংশ হবে শ্রীলঙ্কায়। তাই ঐ ম্যাচ পরই আবারো শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসতে হবে পাকিস্তান দলকে। কারণ দুদিন বাদেই ২ সেপ্টেম্বরে তাদের মুখোমুখি হতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...