পুরো টুর্নামেন্টে রাজস্থানকে টেনেছেন বাটলার ও জয়সওয়াল আর বড় করে বললে রাজস্থানের ব্যাটিং লাইনআপ। কিন্তু এদিন পুরো ব্যাটিং লাইনআপটাই যেন ধসে পড়লো ব্যাঙ্গালুরুর সামনে।
ডু প্লেসিস ম্যাক্সওয়েলের ফিফটির পর ওয়েইন পার্নেল, মাইকেল ব্রেসওয়েলদের বোলিং তোপে ১১২ রানের বিশাল জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। টুর্নামেন্টের এই আসরের সর্বনিম্ম ৫৯ রানে অলআউট হবার লজ্জায় ডুবতে হয়েছে জয়সওয়াল,বাটলারদের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই ব্যাঙ্গালুরুকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস ও বিরাট কোহলি। ৫০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। তবে এরপরই ৬৯ রানের পার্টনারশিপে ব্যাঙ্গালুরুকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন ডু প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
দলীয় ১১৯ রানে কেএম আসিফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ডু প্লেসিস ফেরেন ৪৪ বলে ৫৫ রান করে। ডু প্লেসিসের ইনিংসে ছিলো দুটি ছক্কা ও তিনটি চারের মার। এর পরপরই সন্দীপ শর্মার শিকার হয়ে ফিরে যান ম্যাক্সওয়েলও। ৩৩ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫৪ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।
এরপর শেষ দিকে অনুজ রাওয়াতের ১১ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে ২৯ রানের ক্যামিওতে ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালুরু।
জয়সওয়াল, বাটলারদের ব্যাটিং লাইনআপের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্য খুব বেশি বড় হবার কথা ছিলো না। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত রাজস্থানের ওপেনিং জুটি আর ব্যাটিং লাইনআপ এদিন তাসের ঘরের মতই ভেঙে পড়লো। কোনো রান যোগ না করেই ফিরে যান জয়সওয়াল ও বাটলার।
এরপর জো রুট স্যামসনরাও দলের হাল ধরতে না পারলে ৫০ রানে সাত উইকেটের দল হয়ে যায় রাজস্থান। এরপর শিমরন হেটমায়ার কিছুটা চেষ্টা চালালেও রাজস্থানের ভরাডুবি ঠেকাতে পারেনি তিনি। ১৯ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ৩৫ রান করে ম্যাক্সওয়েলের শিকার হন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৫৯ রানেই অলআউট হয় রাজস্থান। ম্যাচ হারে ১১২ রানে। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ওয়েইন পার্নেল তিনটি ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ও কারন শর্মা দুই উইকেট নেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ব্যাঙ্গালুরু। অন্যদিকে বড় ব্যাবধানে হেরে শুধু পয়েন্ট নয় রান রেটের মারপ্যাঁচেও পিছিয়ে পড়ছে রাজস্থান রয়েলস। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট রাজস্থানের।