অ্যাশেজ সেরা বোলিং তাণ্ডব

ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রাচীনতম দ্বিপাক্ষিক লড়াই তাও আবার ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে আলাদা এক আলোড়নের সৃষ্টি করে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রুপান্তরিত হয় অ্যাশেজ। এই আলোড়োন সৃষ্টির পেছনে রয়েছে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অথবা বোলারদের অবদান। বিধ্বংসী সব বোলিং, মাটি কামড়ে ক্রিজে থেকে সেসব বল খেলে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তবুও বোলারদের আগুন ঝরা বোলিং দিনে ব্যাটারদের আসলে তেমন কিছুই করার থাকে না।

আট ডিসেম্বর ২০২১, দিনটা ক্রিকেট প্রেমীদের দিন। যারা ক্রিকেটের নিয়িমিত দর্শক তাঁদের কাছে দিনটির মাহাত্ম খানিক ভিন্ন। কেননা সেদিন শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীনতম লড়াই। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্টে সিরিজের শুরু সেদিন। এই টেস্ট সিরিজ ‘অ্যাশেজ’ নামেই বেশ সুপরিচিত, এটা খুব একটা নতুন তথ্য না। তবে এই অ্যাশেজ সিরিজের সেরা পাঁচ বোলিং ফিগার হয়ত অনেকের কাছেই হতে পারে নতুন তথ্য।

ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রাচীনতম দ্বিপাক্ষিক লড়াই তাও আবার ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে আলাদা এক আলোড়নের সৃষ্টি করে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রুপান্তরিত হয় অ্যাশেজ। এই আলোড়োন সৃষ্টির পেছনে রয়েছে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অথবা বোলারদের অবদান। বিধ্বংসী সব বোলিং, মাটি কামড়ে ক্রিজে থেকে সেসব বল খেলে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তবুও বোলারদের আগুন ঝরা বোলিং দিনে ব্যাটারদের আসলে তেমন কিছুই করার থাকে না।

  • ফ্রাঙ্ক লেভার (অস্ট্রেলিয়া): ৮/৩১ ( ম্যানচেস্টার, ১৯০৯)

অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায়। তাঁদের ব্যাটিং এ ধস নামান ইংলিশ বোলার সিডনি ব্যারেন্স এবং কলিং ব্লিথ। দুইজনই নেন পাঁচ উইকেট করে। ম্যাচটি ছিল সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। ফ্রাঙ্ক লেভার অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াম পেস বোলার নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিলেন ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডারের পতন ঘটাতে। মাত্র ৩১ রান দিয়ে তিনি আটটি উইকেট নিয়ে মাত্র ১১৯ রানেই ইংল্যান্ডকে বেঁধে ফেলতে সহয়তা করেন। লেভার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ১৫টি টেস্ট। তাঁর উইকেট সংখ্যা ৩৭টি।

  • স্টুয়ার্ড ব্রড (ইংল্যান্ড): ৮/১৫ (নটিংহ্যাম, ২০১৫)

স্টুয়ার্ড ব্রড তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগারটা অর্জন করেছেন এই অ্যাশেজ সিরিজেই। তিনি ২০১৫ সালের অনুষ্ঠিত অ্যাশেজের চতুর্থ ম্যাচে আট উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। তাঁর বোলিং তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৬০ রানেই অলআউট হয়ে যায়। অজিদের আট উইকেট নিতে ব্রড খরচ করেন মাত্র ১৫ রান।

  • আর্থার মেইলি (অস্ট্রেলিয়া): ৯/১২১ (মেলবোর্ন, ১৯২১)

আর্থার মেইলি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান বোলিং আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র। ১৯২১ এর মেলবোর্ন টেস্টে তিনি প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ২৮৪ রানে বেঁধে ফেলতে সহয়তা করেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ান এই লেগ স্পিনার ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে আরো নয়টি উইকেট তুলে নেন। খরচ করেন ১২১ রান। অস্ট্রেলিয়া সেই টেস্ট আট উইকেটে জিতে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ওয়াইট ওয়াশ করে অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজে ৩৬ উইকেট নিয়ে আর্থার মেইলি হয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

  • জিম লেকার (ইংল্যান্ড): ৯/৩৭ (ম্যানচেস্টার, ১৯৫৬)

ইংলিশ কিংবদন্তি স্পিন বোলার জিম লেকারের দখলে রয়েছে অ্যাশেজের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ব্যাটারদের কল্যাণে ৪৫৮ রান দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের জয়ের বাকি কাজটুকু একাই সেড়ে ফেলেন জিম লেকার। তিনি একাই তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার নয়টি উইকেট। বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ৩৭ রান দিয়েছেন লেকার। তাঁর আরেক সতীর্থ টনি লক একটি উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছিলেন, লেকারের অভাবনীয় বোলিং আক্রমণের ভিড়ে।

  • জিম লেকার (ইংল্যান্ড): ১০/৫৩ (ম্যানচেস্টার, ১৯৫৬)

দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের পাশাপাশি সেরা বোলিং ফিগারটাও নিজের দখলে রেখেছেন জিম লেকার। অ্যাশেজ তো বটেই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাঁর এই সেরা বোলিং ফিগার অতিক্রম করতে পারেনি কোন বোলার। এক টেস্ট ম্যাচের দুইটি ভিন্ন ইনিংসে একটি নয় উইকেট ও পরবর্তীটিতে দশটি উইকেট নিয়ে এক টেস্টে ১৯ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটাও নিজের করে রেখেছেন জিম লেকার। অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ব্যবধানে হারাতে তিনি মাত্র ৫৩ রান খরচায় বিশ্বরেকর্ড গড়েন ১০ উইকেট নিয়ে। ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়া ইনিংস তো বটেই ১৭০ রানেও হেরেছিল।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...