এশিয়ান মঞ্চে ভারতীয় ব্যাটারদের ভয়

ভারতীয় ব্যাটারদের আগ্রাসনের গল্পের তো জুড়ি নেই। তবে এর বিপরীতেও কিন্তু প্রতিপক্ষ বোলারদের মোক্ষম জবাবের ঘটনা নগণ্য নয়। মহাদেশীয় আসর এশিয়া কাপের মঞ্চেই ৪ জন বোলার ভারতের বিপক্ষে ফাইফারের কীর্তি গড়েছেন। যার সবশেষটা এসেছে লঙ্কান স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগের হাত ধরে। 

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ বরাবরই সমৃদ্ধ। সুনীল গাভাস্কার থেকে শচীন টেন্ডুলকার। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে সেই সুতোটা শক্ত করে ধরে রেখেছেন কোহলি, রোহিতরা। 

তবে ভারতীয় ব্যাটারদের এমন আগ্রাসনের বিপরীতেও কিন্তু প্রতিপক্ষ বোলারদের মোক্ষম জবাবের ঘটনা নগণ্য নয়। মহাদেশীয় আসর এশিয়া কাপের মঞ্চেই ৪ জন বোলার ভারতের বিপক্ষে ফাইফারের কীর্তি গড়েছেন। যার সবশেষটা এসেছে লঙ্কান স্পিনার দুনিথ ওয়েলেলাগের হাত ধরে। 

চলুন দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপ মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে সেই সব সেরা বোলিং ফিগারের গল্প। 

  • অজন্তা মেন্ডিস (২০০৮ এশিয় কাপ, ১৩ রানে ৬ উইকেট)

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন অজন্তা মেন্ডিস। সে বছরেরই এশিয়া কাপ দিয়েই রীতিমত ‘রহস্যময় স্পিনার’ বনে গিয়েছিলেন এ স্পিনার৷ ডান হাতি অফ ব্রেক করতেন। বোলিং অ্যাকশনও ছিল বেশ সাদামাটা। 

তবে ক্যারম বলের জাদু দেখিয়ে সেবারের এশিয়া কাপটা বলতে গেলে নিজেরই করে নিয়েছিলেন মেন্ডিস। পাকিস্তানে হওয়া সেই এশিয়া কাপে প্রথম চার ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তবে সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন করাচির ফাইনালের জন্য।

ভারতের বিপক্ষে ১৩ রানে একাই নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। আর তাঁর চোখ ধাঁধানো বোলিংয়েই ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে শিরোপা ঘরে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা।

  • আকিব জাভেদ ( ১৯৯৫ এশিয়া কাপ, ১৯ রানে ৫ উইকেট)

এশিয়া কাপের ইতিহাসে একমাত্র পাকিস্তানি বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ফাইফারের কীর্তি আছে শুধু আকিব জাভেদের। ১৯৯৫ এশিয়া কাপে শারজায় হওয়া সে ম্যাচে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এ পেসার। আকিব জাভেদের এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে সেদিন ৯৭ রানের বড় জয় পেয়েছিল পাকিস্তান৷ 

  • দুনিথ ওয়েলেলাগে (২০২৩ এশিয়া কাপ, ৪০ রানে ৫ উইকেট)

২০০৮ সালের অজন্তা মেন্ডিস যেন ফিরে এসেছিলেন ২০২৩ এশিয়া কাপেও। ১৫ বছর বাদে, আবারো কোনো স্পিনারের সামনে এশিয়া কাপের মঞ্চে ধরাশয়ী হয় ভারত। আর তারকা খচিত ভারতীয় ব্যাটারদের সেই স্পিন ভেলকি দেখান দুনিথ ওয়েলেলাগে। ৪০ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। তাতে ২১৩ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। 

তবে ভেল্লালাগের স্পিন ভেলকির পর বাকি কাজটুকু আর করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। ভারতকে কম রানে বেঁধে দিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে যায় পাকিস্তান। অবশ্য ভারতের জেতা ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ঠিকই বাগিয়ে নেন দুনিথ ভেল্লালাগে। 

  • ফারভিজ মাহরুফ (২০১০ এশিয়া কাপ, ৪২ রানে ৫ উইকেট)

২০১০ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ফাইফারের স্বাদ নিয়েছিলেন ফারভিজ মাহরুফ। বিরাট কোহলিকে দিয়ে শুরু, অশোক ডিন্ডাকে দিয়ে লঙ্কান এ পেসার পৌঁছে যান ফাইফারের চক্রে। 

তাঁর এমন বোলিং তোপে সেদিন ২০৯ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। পরে শ্রীলঙ্কা সে লক্ষ্য টপকে যায় ৭৫ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই। 

  • চারিথ আসালাঙ্কা (২০২৩ এশিয়া কাপ, ১৮ রানে ৪ উইকেট)

চারিথ আসালাঙ্কা পুরোদস্তুর কোনো বোলার নন। ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে একটি মাত্র উইকেট পেয়েছিলেন। তবে দুনিথ ভেল্লালাগের ফাইফার পাওয়ার দিনে বল হাতে নজর কাড়েন আসালাঙ্কাও। ১৮ রানে নেন ৪ উইকেট। 

আর এ বোলিং ফিগারই তাঁকে পৌছে দিয়েছে রেকর্ডের পাতায়। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপে ৫ম সেরা বোলিং ফিগার এখন এ পার্টটাইম স্পিনারের দখলে। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...