কৃপণতার চূড়ান্ত পর্যায়

চার ছক্কার বন্যার মাঝেও এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও কিছু বোলার নিজেদের প্রমাণ করেছেন। যারা চার-ছয়ের এই বন্যার মাঝেও নিজেদের বোলিং দক্ষতা দেখাতে পেরেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও তাঁদের বিরুদ্ধে রান করতে ব্যাটসম্যানদের ভুগতে হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দেখা গিয়েছে বল হাতে এমন কিছু স্পেল। যারা রান খরচ করতে দেখিয়েছেন সর্বোচ্চ কৃপণতা।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের একটি ফরম্যাট। এই ফরম্যাটটি সাজানোই মূলত ব্যাটসম্যানদের সুবিধা দিয়ে। ব্যাটারদের নানারকম উদ্ভাবনী শটেরও মঞ্চ এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। চার-ছয়ের উৎসব দেখতেই মূলত মাঠে যান দর্শকরা।

চার ছক্কার বন্যার মাঝেও এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও কিছু বোলার নিজেদের প্রমাণ করেছেন। যারা চার-ছয়ের এই বন্যার মাঝেও নিজেদের বোলিং দক্ষতা দেখাতে পেরেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও তাঁদের বিরুদ্ধে রান করতে ব্যাটসম্যানদের ভুগতে হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দেখা গিয়েছে বল হাতে এমন কিছু স্পেল। যারা রান খরচ করতে দেখিয়েছেন সর্বোচ্চ কৃপণতা।

সেসব মিতব্যয়ী বোলিংয়ের অবিস্মরণীয় সব নজীর নিয়েই খেলা ৭১-এর এবারের আয়োজন। তালিকায় থাকা পাঁচজনের মধ্যে চারজনই স্পিনার, একজন মোটে একজন পেসার। দু’জন বাংলাদেশি, বাকিরা ভিনদেশি।

  • নাহিদুল ইসলাম (বাংলাদেশ)

এবারের বিপিএলে এই তালিকার সবচেয়ে কৃপণ বোলারের পরিণত হয়েছেন ডান হাতি অফস্পিনার নাহিদুল ইসলাম। এমনিতেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভীষণ ইকোনমিক্যাল এই বোলার। তবে এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে তো রেকর্ডই করে ফেললেন। নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির পাশে।

বরিশালের বিপক্ষে পুরো চার ওভার বোলিং করে খরচ করেছেন মাত্র ৫ রান। এছাড়া উইকেটও নিয়েছেন তিনটি। ২৪ বলের এই স্পেলে ১৯ টিই ডট দিয়েছেন এই স্পিনার।

  • শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

নাহিদুল ইসলামের এই রেকর্ডটির মালিক এতদিন একাই ছিলেন শহিদ আফ্রিদি। সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে ২০১৫ সালে বল হাতে বিপিএলে সবচেয়ে কম রান দেয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন এই স্পিনার।

বরিশাল বুলসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে আফ্রিদি সেই ম্যাচে খরচ করেছিলেন মাত্র ৫ রান। এছাড়া সেই স্পেলে দুটি উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। এতদিন এটিই ছিল বিপিএলের সবচেয়ে কৃপণ বোলিং। তবে আফ্রিদির এই রেকর্ড এবার ভাগ বসালেন বাংলাদেশের নাহিদুল ইসলাম।

  • জ্যাকব ওরাম (নিউজিল্যান্ড)

নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অলরাউন্ডারও আছেন আমাদের এই তালিকায়। এই তালিকার একমাত্র পেসার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন জ্যাকব ওরাম।

বিপিএলে সেই ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের হয়ে এই কীর্তি করেছিলেন জ্যাকব ওরাম। চার ওভার বোলিং করে এই পেসার খরচ করেছিলেন মাত্র ৭ রান। তিনিও তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ঢাকা গ্ল্যাডিওটরসের বিপক্ষে এই কীর্তি করেছিলেন ওরাম।

  • রশিদ খান (আফগানিস্তান)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সবচেয়ে সফল বোলারদের একজন রশিদ খান। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণও এই লেগ স্পিনার। উইকেট তুলে নেয়াতেও তাঁর জুড়ি নেই।

এছাড়া বল হাতে সবসময়ই বেশ ইকোনমিক্যাল এই স্পিনার। ২০১৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সেই মাচে চার ওভার বোলিং করে খরচ করেছিলেন মাত্র ৭ রান। এছাড়া তুলে নিয়েছিলেন সাতটি উইকেটও।

  • সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সফলতম বোলারদের একজন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দারুণ সফল এই অলরাউন্ডার। এছাড়া সবসময়ই রান দিতে বেশ কৃপণতা করেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিপিএলের ইতিহাসেই সেরা বোলারদের একজন তিনি।

বিপিএলেও একবার এমন এক স্পেল করেছিলেন সাকিব। ২০১৭ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে চার ওভার বোলিং করে খরচ করেছিলেন ৮ রান। এছাড়া তুলে নিয়েছিলেন ৪ টি উইকেটও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...