বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কাগজে-কলমে কিংবা কর্তাদের বক্তব্যে এটা পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা ফ্রাঞ্জাইজ ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। তবে ধারাবাহিকতার কিংবা জাঁকজঁমকের তফাৎটা দৃষ্টি এড়ানো মুশকিল। তবে সেসব আলোচনায় না গিয়ে আজকে একটু ভিন্ন আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছে খেলা ৭১।
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ছয়টি ফ্রাঞ্চাইজি ছয়টি দল গঠন সম্পূর্ণ হয়েছে। শীঘ্রই মাঠে ম্যাচ গড়াবে দেশের তিন ভেন্যুতে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে। তার আগে একটু জেনে নেওয়া প্রয়োজন এখন অবধি বিপিএলের সাতটি আসর শেষে কোন বোলাররা রয়েছেন উইকেট শিকারিদের তালিকার শীর্ষে। সেরা পাঁচের তালিকায় রয়েছেন চার পেসার ও এক স্পিনার।
- তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ)
২০১৩ আসর থেকে বিপিএলে নিয়মিত মুখ তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা বোলার তাসকিন বেশ সুপরিচিত ছিলো তাঁর গতিশীল বোলিং এর জন্যে। তবে বর্তমানে গতির পাশাপাশি লাইন-লেন্থ ও স্কিলের দিকে বেশ নজড় দেওয়া তাসকিন আহমেদ বিপিএলে খেলেছেন ৫৩ ম্যাচ। এই ৫৩ ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৭৪টি। ইকোনমি রেট ৮.৬১। বোলিং গড় ২০.৭৭। তিনি রয়েছেন আজকের তালিকার পঞ্চম স্থানে।
- শফিউল ইসলাম (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস আক্রমণের এক সময়কার ভরসার প্রতীক শফিউল ইসলাম এখন লাল-সবুজ জার্সিতে অনিয়মিত। তরুণদের ভীরে জাতীয় দলে তাঁর আসার পথ যেন খানিক অবরুদ্ধই হয়ে রয়েছে। তবে বিপিএলে সে বরাবরই বেশ ভাল এবং ধারাবাহিক। একেবারে শুরুর আসর থেকে এখন অবধি সবগুলো আসর খেলেছেন শফিউল। ৭৬ ম্যাচে ২৬.০৩ গড়ে নিয়েছেন ৭৮টি উইকেট। বিপিএলে উইকেট শিকারিদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা শফিউল ইসলামের ইকোনমি রেট ৮.৩৬।
- মাশরাফি বিন মর্তুজা (বাংলদেশ)
সাদা বলের ক্রিকেটে বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বিপিএলেও বেশকিছু শিরোপা এনে দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজিদের। প্রথম আসর থেকে তিনিও বিপিএলের ধারাবাহিক। সেটা হোক দল পাওয়া ক্ষেত্রে কিংবা পারফর্ম করার দিক দিয়ে। এখন পর্যন্ত মাশরাফি বিপিএলে ম্যাচ খেলেছেন ৮৭টি। এর মধ্যে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৮১টি। গড় ২৬ এর খানিক বেশি অপরদিকে ইকোনমি রেটটা সাতের নিচে। বিপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করা মাশরাফি এবার খেলবেন ঢাকার হয়ে।
- রুবেল হোসেন (বাংলাদেশ)
২০১২ সাল থেকে রুবেল হোসেন খেলছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁরও। এছাড়া বল হাতে পারফর্ম করাদের মধ্যে তাঁর অবস্থান দ্বিতীয়তে। তিনি সবগুলো আসরে দল পেলেও তাঁর খেলা ম্যাচের সংখ্যা কেবল ৬৯টি। এই ৬৯ ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৯০টি উইকেট। প্রায় ২০.৮৫ গড়ে উইকেট নিতে পারতেন কিন্তু রান দেওয়ার বেলায় বেশ কৃপণ বলা যায় তাঁকে। তাঁর ইকোনমি রেট ৭.৯২।
- সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ তথা বর্তমান বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাম্প্রতিক সময়ে নানান বিতর্কে বারেবারেই তাঁর নাম আসলেও তিনি কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পারফর্ম করাদের মধ্যে অন্যতম সেরা। অন্তত বল হাতে তো তাঁকে সেরাই বলা যায়। কেননা উইকেট শিকারিদের তালিকায় তাঁর অবস্থান সবার উপরে। একমাত্র তাঁর নামের পাশেই রয়েছে শতক ছাড়ানো উইকেটের পরিসংখ্যান। ৭৬ ম্যাচে ১০৬ উইকেট নেওয়া সাকিব ইকোনমিতেও বেশ কম খরুচে সাকিব, ৬.৭৩। অন্যদিকে তাঁর বোলিং গড় ১৭.৮৩।
এই বোলারদের উপর বিপিএলের অষ্টম আসরে এসেও নজড় থাকবে ফ্রাঞ্চাইজি থেকে শুরু করে দর্শক-সমর্থক সকলের।