বিতর্কের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমির দৌড়ে টিকে রইলো দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরদিকে, টানা দুই হারে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেকটাই ছিটকে গেলো সেমিতে যাওয়ার লড়াই থেকে। বর্ণবাদের জের ধরে নিয়মিত উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক না খেললেও জয় পেতে সমস্যা হল না প্রোটিয়াদের।
১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই রান আউটের শিকার হয়ে ফেরত যান টেম্বা বাভুমা। এরপর দ্বিতীয় উইকেট ভ্যান ডার ডুসেন ও রিজা হেনড্রিক্সের ব্যাটে অগ্রসর হতে থাকে প্রোটিয়ারা। দু’জনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। দলীয় ৬১ রানে হেনড্রিক্সের ৩০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন এইডেন মার্করা,। ডুসেনের সঙ্গে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন মার্করাম! পিছিয়ে পড়া প্রোটিয়ারা ম্যাচে ফিরেন এই দু’জনেই ব্যাটে।
দু’জনে ব্যাটিং দাপটের সামনে পাত্তাই পায়নি ক্যারিবিয়ান বোলাররা। শেষ পর্যন্ত দু’জনের ৮৩ রানের দুর্দান্ত জুটিতে ৮ উইকেট ও ১০ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। মার্করাম ২৬ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৫১ এবং ডুসেন অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ক্যারিবিয়ানরা। এভিন লুইসের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়ে আফ্রিকান বোলাররা। একপ্রান্তে লুইস তান্ডব চললেও আরেকপ্রান্তে লেন্ডল সিমন্স খেলেন টেস্ট মেজাজের ইনিংস! ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৩ রান। লুইস তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। দলীয় ৭৩ রানে লুইস ফেরেন ৩৫ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিং শেষে। এরপরই যেন মূর্ছা যায় ক্যারিবিয়ানরা।
১৬ রানের ব্যবধানেই নেই তিন উইকেট! ৩৫ বলে ১৬ রানের টেস্ট মেজাজের ইনিংস শেষে আউট হন সিমন্স। নিকোলাস পুরানও ফেরেন দ্রুতই। গেইল-পোলার্ডরা ভীত গড়লেও বলের সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না ব্যাটাররা। গেইল ফেরেন মাত্র ১২ রানে! ডুয়াইন প্রিটোরিয়াসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রাসেল, হেটমায়াররাও ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলেন। শেষদিকে পোলার্ডের ২০ বলে ২৬ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দলের পক্ষে একমাত্র এভিন লুইস দেখা পান ফিফটির। এছাড়া বড় স্কোর করতে পারেননি কেউই। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে প্রিটোরিয়াস ৩ ও কেশব মহারাজ নেন ২ উইকেট!
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৪৩/৮ (২০ ওভার); লুইস ৫৬(৩৫), পোলার্ড ২৬(২০), সিমন্স ১৬ (৩৫), গেইল ১২(১২); প্রিটোরিয়াস ২-০-১৭-৩, মহারাজ ৪-০-২৪-২
দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৪৪/২ (১৮ ওভার); মার্করাম ৫১(২৬)*, ডুসেন ৪৩(৫১)* হেনড্রিক্স ৩৯(৩০); আকিল হোসেন ৪-০-২৭-১
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: এররিচ নরকে (দক্ষিণ আফ্রিকা)