অপ্রচলিত-বিচিত্র সব প্রস্থানের গল্প

ক্রিকেটে সচরাচর দেখা মেলে না কিংবা তুলনামূলক কম প্রচলিত আরও কিছু আউট রয়েছে। যেমন টাইম আউট, হিট দ্য বল টোয়াইস, অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড এবং হ্যান্ডলড দ্য বল। অদ্ভুত এ আউটগুলোর একটিতেও উইকেট লাভের কৃতিত্ব বোলারকে দেয়া হয় না।

ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যান ঠিক কত রকম ভাবে আউট হতে পারেন? এ প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমীই হয়তো উত্তর দেবেন পাঁচ কিংবা ছয় রকম। তাদের এরকম ভাবনাটা খুবই স্বাভাবিক কেননা ঘুরে ফিরে আমরা কেবল ৫-৬ ধরনের আউটই দেখে থাকি। ক্যাচ, বোল্ড, এলবিডব্লু, রান আউট আর স্টাম্পিং। চাইলে হিট উইকেটকেও এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যায়।

তবে ক্রিকেটে সচরাচর দেখা মেলে না কিংবা তুলনামূলক কম প্রচলিত আরও কিছু আউট রয়েছে। যেমন টাইম আউট, হিট দ্য বল টোয়াইস, অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড এবং হ্যান্ডলড দ্য বল। অদ্ভুত এ আউটগুলোর একটিতেও উইকেট লাভের কৃতিত্ব বোলারকে দেয়া হয় না।

তবে ‘রিটায়ার্ড আউট’ নামে আরও এক প্রকার আউটের কথা আইনে প্রত্যক্ষভাবে উল্লেখ না থাকলেও ক্রিকেট ইতিহাসে এর কয়েকটি নজির রয়েছে। এছাড়া ‘মানকাডিং’ বলে এক অদ্ভুত ধরনের আউট রয়েছে যা আদতে রান আউটেরই একটি বিশেষ সংস্করণ।

  • টাইমড আউট

কোন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর নেক্সট ‘ইনকামিং’ ব্যাটসম্যান যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রিজে পৌঁছাতে না পারেন, তবে ফিল্ডিং দলের অধিনায়কের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ‘টাইমড আউট’ ঘোষণা করা হয়। ক্রিকেট আইনের ৩১তম ধারায় এই আউটের উল্লেখ আছে।

এই ‘নির্ধারিত সময়’ পূর্বে ২ মিনিট থাকলেও বর্তমানে তা ৩ মিনিট ধার্য করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখন পর্যন্ত এই আউটের সাক্ষী না হতে পারলেও ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটে টাইম আউটের মোট পাঁচটি নজির পাওয়া যায়।

ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে টাইম আউটের শিকার হওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যান হলেন –

  • ১৯৮৭-৮৮ সালে পোর্ট এলিজাবেথে ইস্টার্ন প্রভিন্স বনাম ট্রান্সভাল ম্যাচে এন্ড্রু জর্ডান,
  • ১৯৯৭ সালে কোটাকে ত্রিপুরা বনাম উড়িষ্যা ম্যাচে হেমুলাল যাদব,
  • ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে বর্ডার বনাম ফ্রি স্টেট ম্যাচে ভ্যাসবার্ট ড্রেকস,
  • ২০০৩ সালে নটিংহ্যামে নটিংহ্যামশায়ার বনাম ডারহাম ম্যাচে অ্যান্ড্রু হ্যারিস,
  • ২০১৩ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাস অ্যান্ড কলেজ বনাম উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ড ম্যাচে রায়ান অস্টিন

২০০৬ সালে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার কেপটাউন টেস্টে টাইম আউটের একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

ক্রিকেটের একটি অদ্ভুত নিয়ম হল, মূল একাদশে থাকা একজন খেলোয়াড় কোন কারণে মাঠের বাইরে গেলে যতটা সময় তিনি মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন, মাঠে ফেরার পর ঠিক ততটা সময় পর্যন্ত তিনি বোলিং-ব্যাটিং কোনটাই করতে পারবেন না। তবে শুধু ফিল্ডিং করতে পারবেন।

তো ওই টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষের দিকে ১৮ মিনিট মাঠে ছিলেন না শচীন টেন্ডুলকার। ফলে নিয়মানুসারে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের সময় প্রথম ১৮ মিনিটের মধ্যে তিনি ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন না।

ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই যখন দু’টি উইকেট পড়ে যায়। ১৮ মিনিটের সময়সীমা তখনও পার না হওয়ায় তাই ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি ব্যাটসম্যান তালিকার ৪ নম্বরে থাকা শচীন টেন্ডুলকার। এ নিয়ে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেদিন নতুন ব্যাটসম্যান নামাতে প্রায় ৬ মিনিট দেরি করেছিল ভারত! ৪ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছিলেন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তবে ৬ মিনিট দেরি করলেও প্রোটিয়া দলের অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ `টাইমড আউট’ এর কোন আপিল করেন নি। যার ফলে একটি নিশ্চিত উইকেট পতনের হাত থেকে বেঁচে যায় ভারত।

  • হিট দ্য বল টোয়াইস

ক্রিকেট আইনের ৩৪ নম্বর ধারায় বলা আছে ‘হিট দ্য বল টোয়াইস’ আউটের কথা। বল ডেড হওয়ার পূর্বে কোন ব্যাটসম্যান যদি শরীর বা ব্যাট দিয়ে একাধিকবার বলটিকে আঘাত করেন, তাহলে তিনি ‘হিট দ্য বল টোয়াইস’ বা ‘ডাবল হিট’ আউট বলে বিবেচ্য হবেন।

এখানে প্রথম শটটিকে প্রকৃত খেলার জন্য এবং দ্বিতীয় শটটিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বলের গতিপথ পরিবর্তনের জন্য করা হয়েছে বলে বিবেচিত হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত এই আউট হওয়ার ‘সৌভাগ্য’ (নাকি দুর্ভাগ্য!) কারও হয়নি।

তবে ফার্স্ট ক্লাস এবং লিস্ট-এ ক্রিকেটে বিরল এই আউটের মাত্র দুটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।

প্রথম শ্রেণি: ১৯০৬ সালে ওভালে লিস্টারশায়ার বনাম সারে ম্যাচে জন কিং।

লিস্ট এ: ২০০২ সালে কিংসটাউনে বার্বাডোজ বনাম লিওয়ার্ড আইল্যান্ড ম্যাচে কার্ট উইলকিন্সন।

  • অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড

ক্রিকেট আইনের ৩৭ তম ধারায় বলা হয়েছে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ সম্পর্কে। ফিল্ডার ক্যাচ নেওয়ার সময়, রান আউট করার সময় অথবা বল থ্রো করার সময় ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে ফিল্ডিংয়ে বাঁধা দিলে কিংবা কথা বলে ফিল্ডারদের উত্যক্ত করলে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আইনানুসারে তিনি আউট বলে গণ্য হতে পারেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই আউটের সংখ্যা মাত্র সাতটি। এর মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র একবার এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৬ বার বিরল এই আউটের সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ও সর্বশেষ এই আউটটি দেখা গিয়েছিল ১৯৫১ সালে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড টেস্টে। ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ এর নিয়মানুসারে আউট হয়েছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি স্যার লেন হাটন।

ব্যাটের সাহায্যে গুঁতো মেরে উইকেটরক্ষক রাসেল এনডিনকে ক্যাচ নিতে বাঁধা দেয়ার অপরাধে টেস্ট ক্রিকেটের ‘প্রথম’ ও আজ অব্দি ‘একমাত্র’ ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের শিকার হয়েছিলেন হাটন।

কাকতালীয়ভাবে উইকেটরক্ষক রাসেল এনডিনও এরকম আরেকটি বিরল প্রজাতির আউটের ‘প্রথম’ শিকার। তিনি ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হওয়া ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান!

ওয়ানডেতে যে ছয়টি ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ এর নজির পাওয়া যায়, সেগুলো যথাক্রমে-

  • ১৯৮৭ সালে করাচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের রমিজ রাজা,
  • ১৯৮৯ সালে আহমেদাবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের মহিন্দর অমরনাথ,
  • ২০০৬ সালে পেশোয়ারে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হক,
  • ২০১৩ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ,
  • ২০১৩ সালে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের আনোয়ার আলী,
  • ২০১৫ সালে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।

মজার ব্যাপার হল, ৬ বারের ৪ বারই অদ্ভুত এই আউটের শিকার ছিলেন কোন না কোন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান!

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’-এর একমাত্র ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালে টন্টনে স্বাগতিক ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অদ্ভুত এই আউটের শিকার হয়ে রেকর্ডবুকে নাম লেখান ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়।

  • হ্যান্ডলড দ্য বল

ক্রিকেট আইনের ৩৩ নং ধারা অনুসারে, বল ডেড হওয়ার পূর্বে যদি কোন ব্যাটসম্যান ফিল্ডিং দলের অনুমতি ব্যতীত ব্যাট ছাড়া কেবল হাত দিয়ে বল স্পর্শ করেন বা ধরেন, তবে ফিল্ডিং দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট ঘোষণা করা হবে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা প্রায়ই ব্যাটসম্যানকে দেখি হাত দিয়ে ধরে ফিল্ডার বা বোলারকে বল ফেরত পাঠাতে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত আউটের আবেদন জানায় না ফিল্ডিং দল। তবে বল ব্যাটে লেগে স্টাম্পের দিকে যাওয়ার পথে যদি পা অথবা ব্যাটের পরিবর্তে হাত দিয়ে বলের গতিরোধ/দিক পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়, তাহলে অবশ্যই ফিল্ডাররা আবেদন করবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হওয়ার বিরল অভিজ্ঞতা আছে ১০ জন ব্যাটসম্যানের।

টেস্ট

  • ১৯৫৭ সালে কেপটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল এনডিন,
  • ১৯৭৯ সালে পার্থে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু হিলড্রিচ,
  • ১৯৮২ সালে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের মহসিন খান,
  • ১৯৮৩ সালে মুম্বাইতে ভারতের বিপক্ষে উইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্স,
  • ১৯৯৩ সালে ম্যানচেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ,
  • ২০০১ সালে চেন্নাইতে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ,
  • ২০০১ সালে ব্যাঙ্গালোরে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাইকেল ভন।

ওয়ানডে

  • ১৯৮৬ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের মহিন্দর অমরনাথ,
  • ১৯৯৯ সালে ডারবানে উইন্ডিজের বিপক্ষে সাউথ আফ্রিকার ড্যারিল কালিনান,
  • ২০১৫ সালে বুলাওয়েতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের চামু চিবাবা।

মজার ব্যাপার হল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ ও ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ উভয় আউটের শিকার হওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যান হলেন ভারতের মহিন্দর অমরনাথ।

  • রিটায়ার্ড আউট

ক্রিকেট আইন অনুযায়ী কোনো ব্যাটসম্যান অসুস্থতা কিংবা আঘাতজনিত অথবা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া স্বেচ্ছায় ব্যাটিং ছেড়ে চলে গেলে তাঁকে ‘রিটায়ার্ড আউট’ ঘোষণা করা হয়। এই আউটের কৃতিত্ব কোনো বোলারের প্রাপ্য নয়।

ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে বেশ কিছু নজির থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই আউটের ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুবার। একই ম্যাচে একই দিনে ঘটে যাওয়া এই বিরল আউটের সাক্ষী ছিল বাংলাদেশও!

২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার মারভান আতাপাত্তু (২০১) ও মাহেলা জয়াবর্ধনে (১৫০) স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন সতীর্থদের ব্যাটিং প্র্যাক্টিসের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। স্কোরবোর্ডে তাদের দুজনের নামের পাশেই লেখা হয়েছিল ‘রিটায়ার্ড আউট’।

তবে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য ক্রিকেট মহলে কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন স্বেচ্ছায় অবসর নেয়া দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান।

গর্ডন গ্রিনিজ

টেস্ট ক্রিকেটে ‘রিটায়ার্ড আউট’ সম্পর্কিত আরও একটি ঘটনার নজির অবশ্য রয়েছে। ১৯৮৩ সালের ভারতের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যাটিংরত অবস্থায় ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ অসুস্থ মেয়েকে দেখতে মাঠ থেকে সরাসরি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজ।

সেই ম্যাচের স্কোরকার্ডে গর্ডন গ্রিনিজের নামের পাশে প্রথমে ‘রিটায়ার্ড আউট’ লেখা হলেও মানবিকতার খাতিরে পরে সেটা পরিবর্তন করে লেখা হয় ‘রিটায়ার্ড নট আউট’।

এবারে শেষ করবার পালা। তবে তার আগে একটি তথ্য দিয়ে যাই। সম্প্রতি ক্রিকেটের আইনে কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে খেলাটির আইন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমসিসি। তাদের নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউটকে এখন ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ এর আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে ‘হ্যান্ডল দ্য বল’ নামে ক্রিকেটে আলাদা কোন আউট আর থাকছে না।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...