অভাগা যেদিকে যায় নদী শুকিয়ে যায়, রিয়াল মাদ্রিদের হয়েছে সে দশা। কোন মতে তিনটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। আলাভেসের বিপক্ষেও পয়েন্ট হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। তবে এ যাত্রায় এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার কল্যাণে রক্ষা পেয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
লা লিগার শিরোপা দৌড়েই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও সমান ম্যাচ খেলে বার্সেলোনার চাইতে চার পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে দলটি। তবে এদিন আলাভাসের বিপক্ষে পয়েন্ট হারালেই ছয় কিংবা সাত পয়েন্টের ফারাক সৃষ্টি হয়ে যেত। কার্যত সেখানেই লিগ জয়ের স্বপ্ন ধুলোয়া মিশে যেতে সাদা জার্সিধারীদের।
মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের লাল কার্ড। বল দখলে নিতে গিয়ে স্পাইক দিয়ে আঘাত করেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়। প্রথমে রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির সহয়তায় সিদ্ধান্ত বদল হয়- সোজা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এর আগেই অবশ্য জয়সূচক একটি গোল আদায় করে ফেলেছিলেন কামাভিঙ্গা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বা-পায়ের শট চালিয়ে গোল আদায় করেন কামাভিঙ্গা। এবারের মৌসুমে লা লিগাতে এটিই ছিল তার প্রথম গোল। অবশ্য তার দোষ এখানে সামান্যই। কার্লো আনচেলত্তি তাকে ব্যবহার করেছেন হোল্ডিং মিডফিল্ডার থেকে শুরু করে লেফট ব্যাক হিসেবে।
তিনি আক্রমণে ওঠার খুব একটা সুযোগ এবারের মৌসুমে পাননি। যখন পেলেন তখন নিজের গোল করার সামর্থ্যও প্রমাণ করলেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আলাভেসও দশ জনের দলে পরিণত হয়। লাল কার্ড দেখে তাদের দলের ডিফেন্ডার মানু সাঞ্জেস মাঠ ত্যাগ করেন ম্যাচের ৭০ মিনিটে। এরপরও রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের দ্বিতীয় গোলের অন্বেষণে ব্যর্থ হয়েছে দিনশেষে।
এদিন অবশ্য কার্ড জনিত নিষেধাজ্ঞা থাকায় ডাগআউটে ছিলেন না আনচেলত্তি। তার সহকারী ডেভিড আনচেলত্তি পরিচালনা করেছেন রিয়ালের ম্যাচ। রক্ষণে এদিন খানিকটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল মাদ্রিদকে। আলাভেসের একের পর এক ক্রসে পরাস্ত হচ্ছিলেন রাউল অ্যাসেন্সিওরা। তবুও দিনশেষে হয়নি কোন বিপদ।
মধ্যমাঠেও যে রিয়াল মাদ্রিদ সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছে- সেটা বলবারও উপায় নেই। আর মধ্যমাঠ থেকে ঠিকঠাক বল সাপ্লাই না হলে, আক্রমণও যে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, সেটাও তো ওপেন সিক্রেট। আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে মাথায় ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে।
এই দলটাই আবার অপেক্ষায় আছে আর্সেনালের বিপক্ষে ক্যামব্যাক করার। আদোতে রিয়াল মাদ্রিদের এই দলটার সামর্থ্য রয়েছে কি-না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাতে করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে মাদ্রিদের ছিটকে যাওয়া অবধারিত। ৩-০ গোলে যে পিছিয়ে আছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।