আগামী ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসর নিয়ে এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মেগা নিলামকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। নিলামের নিয়ম কেমন হবে, সর্বোচ্চ কতজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখা যাবে কিংবা বাজেট কেমন থাকবে সেসব ঠিক করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কর্তৃপক্ষও।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাট টাইটান্সের আগমনের পর থেকে রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) অপশন বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু এবার সব দলের পক্ষ থেকে পুনরায় আরটিএম অপশন চালু করার দাবি তোলা হয়েছে, কেননা এর সাহায্যে বাড়তি দু’জন খেলোয়াড়কে রিটেইন করা সম্ভব।
এছাড়া রিটেইনশন পলিসি কেমন হবে সেটা নিয়েও সংশয়ে ভুগছে সবাই। ২০১৮ সালে পাঁচজন ক্রিকেটারকে রিটেইন করার নিয়ম করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২২ সালে দল বেড়ে যাওয়ায় সেটা কমিয়ে চারে আনা হয় – যাতে কাছাকাছি স্কোয়াড নিয়ে কোন দল বছরের পর বছর খেলতে না পারে; এর পরিবর্তে তাঁরা নতুন নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করার দিকে মনোযোগী হবে।
কিন্তু এখন আবার সংখ্যাটাকে দ্বিগুণ করতে আগ্রহী আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। তাঁদের যুক্তি, বেশি সংখ্যক ক্রিকেটারকে ধরে রাখলে স্কোয়াডে ভারসাম্য ঠিক থাকে; একই সাথে শক্তিশালী সমর্থক গোষ্ঠি গড়ে ওঠে। এখন দেখার বিষয়, কতজনকে রিটেইন করার অনুমতি দেয়া হয়।
আইপিএলের আরেকটি আলোচিত বিষয় ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রুল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মত তারকা ইতোমধ্যে এই নিয়মের সমালোচনা করেছেন। এছাড়া অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষক এটাকে ভারতের জন্য আশঙ্কাজনক মনে করেন। তাঁদের ধারণা, এর ফলে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব হ্রাস পাবে। তবে আগামী মৌসুমেও এই নিয়ম চালু থাকবে এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে; আইপিএলের সিইও হিমাঙ আমিনের সঙ্গে সব ফ্রাঞ্চাইজির প্রতিনিধিদের একটি সভা দ্রুতই অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনার পরই নিয়মনীতি চূড়ান্ত করবে আয়োজকরা।