রান তাড়া করতে হবে? বিরাট কোহলির চেয়ে আদর্শ ব্যাটার আর কেই বা হতে পারে। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজের মাঠে হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি। সেই ক্ষত নিয়েই ব্যাথাটা তিনি ফিরিয়ে দিলেন পাঞ্জাবকে। ম্যাচ তাড়া করে নিশ্চিত করলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জয়।
কোহলি-সুলভ ঠাণ্ডা মেজাজের এক ইনিংস খেলেছেন। এক পাশ থেকে দেবদূত পাদ্দিকাল যখন স্ট্রোকের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন, তখন কোহলি শান্ত নদীর মত নিজের ব্যাট চালিয়ে গেছেন। শেষ অবধি ক্রিজে ছিলেন। ৫৪ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সাতটি চার আর একটি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসের সুবাদে সাত বল হাতে রেখে আবারও জয়ের ধারায় ফিরল আরসিবি। আর এই জয়ের কৃতীত্ব বিরাট কোহলির। চেজ মাস্টার সেই কাজটাই করেছেন, যেটাতে তিনি মাস্টার। বাকি সবাই তাঁর শীষ্য।
১৫৮ রান তাড়া করাটা টি-টোয়েন্টির যুগে কঠিন নয়। তবে, চন্ড্রিগরের উইকেট খুব সহজও ছিল না। অন্যদিকে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতে হারটা ছিল কোহলির জন্য ব্যক্তিগত অপমানের মতো। কোহলি নিজের দায়িত্বটা পালন করেই মধুর একটা ‘প্রতিশোধ’ নিতে পেরেছেন।
কোহলির ইনিংসে গর্জন ছিল না, ছিল দায়িত্ব ও স্থায়িত্ব। তিনি প্রতিশোধ নেওয়াকে শিল্পে পরিণত করতে পেরেছেন। কোহলি কোনো দেনা রাখেন না, তিনি সব শোধ করে দেন। তিনি আঘাতটা ফিরিয়ে দিতে জানেন। চুপচাপ ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়েও সেটা করা যায়, কোহলি সেটা দেখালেন। আপনি যদি বিরাট কোহলি হন. তাহলে স্রেফ বাইশ গজে দাঁড়ালেই ইতিহাস গড়া যায়।