ওয়ান ম্যান আর্মি – কথাটার সবচেয়ে সেরা উদাহরণ দিতে বললে আপনি কার নাম বলবেন? আপনি কি বলবেন সেটা আন্দাজ করা না গেলেও ফুটবলপ্রেমীরা কি বলবেন সেটা বলা যায়। একটা সেকেন্ড অপচয় না করেই কোল পালমারের নাম নেবেন তাঁরা। যদিও এটাই স্বাভাবিক, তাঁর এক জোড়া পায়ে ভর করেই তো ছুটছে চেলসি।
সবশেষ ম্যাচেও চেলসি নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে হারিয়েছে এই তরুণের সৌজন্যে। বিরতি থেকে ফেরার পরপরই রোমিও লাভিয়ার পাস থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি, আর নব্বই মিনিট শেষে সেটাই গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।
অবশ্য আগেই গোল পেতে পারতেন এই ফরোয়ার্ড, ম্যাচের তখনও পাঁচ মিনিট হয়নি। নিকোলাস জ্যাকসনের বাড়িয়ে দেয়া বল দারুণভাবে গোলপোস্টে পাঠিয়েছিলেন তিনি, তবে ভার অফসাইডের সিদ্ধান্ত জানালে সে সময় গোল বঞ্চিত হতে হয় তাঁকে।
যদিও সেজন্য দুঃখ থাকার কথা নয় পালমারের, কেননা দিন শেষে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে দ্য ব্লুজরা। এর ফলে পয়েন্ট টেবিলের সেরা চারে থাকার প্রতিযোগিতায় নিজেদের সুসংহত করতে পেরেছে তাঁরা। পালমার না থাকলে অবশ্য খুঁজেই পাওয়া যেত না দলটাকে, পরিসংখ্যানও সে কথা বলছে।
চলতি প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত চেলসি গোল করেছে ১৯টা, এর মধ্যে ইংলিশ তারকা একাই করেছেন সাত গোল। ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দখলে। তবে গোল করেই তুষ্ট ছিলেন না তিনি, এখন পর্যন্ত অ্যাসিস্ট করেছেন আরও পাঁচ বার। অর্থাৎ ক্লাবের প্রায় সত্তর শতাংশ গোলেই প্রত্যক্ষ অবদান আছে তাঁর। তিনি গোল বা অ্যাসিস্ট করেননি এমন ম্যাচে কেবল বোর্নমাউথকে হারাতে পেরেছে চেলসি।
কোল পালমার আসলে দলটার জন্য কুড়িয়ে পাওয়া সৌভাগ্য। তারকার কমতি নেই স্কোয়াডে, কিন্তু মাঠে ইম্প্যাক্টের বড্ড অভাব; ড্রেসিংরুমে অভাব বড় স্বপ্নের। এমন পরিস্থিতিতে তিনিই হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে ইম্প্যাক্টফুল, সবচেয়ে ভিশনারি খেলোয়াড় – এভাবে চলতে থাকলে নিশ্চিতভাবেই চেলসির ইতিহাসে উজ্জলতম অধ্যায় হয়ে উঠবেন তিনি।