উইল জ্যাকস-ময় একটা ম্যাচ দেখা গেলো সাগরিকায়। ব্যাটিংয়ে অতিমানবীয় পারফরম্যান্স উপহার দেয়ার পর চার চারটি ক্যাচ তালুবন্দি করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে একাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর অনবদ্য সেঞ্চুরি আর লিটন, মঈনের ঝড়ো ফিফটিতে দলটিকে ৭৩ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভীতি ছড়াতে শুরু করেন কুমিল্লার ওপেনাররা। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৬২ রান তোলেন এই দু’জনে। পরের ওভারেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন; এরপর যদিও বড় রান করতে পারেননি, ফিরেছেন ৩১ বলে ৬০ রান করে। তিন নম্বরে নামা তাওহীদ হৃদয় এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি, ব্রুক গেস্টও আউট হয়েছেন অল্পতে।
অল্প ব্যবধানে তিন উইকেটের পতন ঘটলেও ইনিংসের গল্প বদলায়নি খুব একটা। মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো বিধ্বংসী হয়ে উঠেন জ্যাকস। এরই কল্যাণো ১৮ ওভারে দলীয় সংগ্রহ পেরিয়ে যায় দুইশতের গন্ডি। শেষ ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে উদযাপনে মাতেন ডানহাতি ওপেনার এবং চতুর্থ বলে একইভাবে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থও।
শেষপর্যন্ত উইল জ্যাকস অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে, আর মঈনের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৫৩ রান। তাতেই ২৩৯ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা, বিপিএলের ইতিহাসেই এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
জবাবে চট্টগ্রামও চেয়েছে সমান তালে এগিয়ে যেতে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তানজিদ তামিম ও জস ব্রাউন সেই চেষ্টা করেছেন, প্রথম ছয় ওভারে তাঁরা ৬১ রান বোর্ডে জমা করেন। মাত্র ২৪ বলে ৪১ রান তামিমকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজ, এরপরই ত্রাস হয়ে আগমন ঘটে রিশাদের। একাই পরপর তিন উইকেট তুলে নেন তিনি।
মুস্তাফিজ আবার এক উইকেট শিকার করলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। যদিও অধিনায়ক শুভাগত হোমকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান সৈকত আলী। যদিও সেটা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ, ১১ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় সৈকতকে।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম, শেষদিকে মঈন আলী হ্যাটট্রিক করে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন; সবমিলিয়ে চার উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এর আগে রিশাদ হোসেনও নিয়েছেন চারটি উইকেট। দু’জনের বদৌলতে ১৬৬ রানে শুভাগত হোমের দলকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হন লিটনরা।