মেজাজ হারানো ধোনি কিংবা সামির ১৭ ডেলিভারির ওভার!

শিরোপাটা ঘরে নিতে পারবে কোন দল তা দেখার প্রহর গুণে সবাই। এশিয়ার সেরা হওয়ার সম্মান অর্জনের দারুণ এই আসরে মাঝেমধ্যেই আবার ঘটে যায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত লজ্জাজনক ঘটনা। চাঁদের গায়ের কলঙ্কের মতো এই ঘটনাগুলোও এশিয়া কাপের কলঙ্ক হয়ে ইতিহাস রেখে যায়। কলঙ্কের সেসব কালো অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে সব কিংবদন্তিদের নামও।

এশিয়া কাপ – মহাদেশের সেরা হওয়ার আসর। সবথেকে শক্তিশালী রূপে, শক্তিশালী দল নিয়ে মাঠে নামতে চায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এই এশিয়া কাপকে ঘিরে যেন নানাদিকে নানান জল্পনা- কল্পনার শেষ নেই।

শিরোপাটা ঘরে নিতে পারবে কোন দল তা দেখার প্রহর গুণে সবাই। এশিয়ার সেরা হওয়ার সম্মান অর্জনের দারুণ এই আসরে মাঝে মধ্যেই আবার ঘটে যায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত লজ্জাজনক ঘটনা। চাঁদের গায়ের কলঙ্কের মতো এই ঘটনাগুলোও এশিয়া কাপের কলঙ্ক হয়ে ইতিহাস রেখে যায়। কলঙ্কের সেসব কালো অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে সব কিংবদন্তিদের নামও।

  • গৌতম গম্ভীর বনাম কামরান আকমল 

ঘটনাটি ২০১০ সালের এশিয়া কাপের। ইন্ডিয়া পাকিস্তান ম্যাচ চলছে। স্বভাবতই এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা বিরাজমান। হোক তা মাঠে, গ্যালারিতে কিংবা টিভির পর্দায়। প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর এবং অভিজ্ঞ পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমলের কুৎসিত ঝগড়ার সাক্ষী হয় ক্রিকেট বিশ্ব। ২৬৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ধোনিগম্ভীর তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েন।

খেলা চলাকালীন পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক আকমল ক্যাচবিহাইন্ড আবেদন করেছিলেন। আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে দেয়ার পরে  গম্ভীর ও আকমলের মধ্যে উত্তপ্ত বিনিময় শুরু হয়। পরে পানীয় বিরতিতে, আকমলের সাথে গম্ভীরের আরেক দফা ঝগড়া বেঁধে যায়। সামান্য তর্ক থেকে বিষয়টি রীতিমতো মুখোমুখি ঝামেলার দিকে মোড় নিচ্ছিল। পরে বাধ্য হয়ে ধোনি ও গম্ভীরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

  •  হরভজন সিং বনাম শোয়েব আখতার 

২০১০ সালের এশিয়া কাপ এরকম আরেকটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। ম্যাচের শেষ ওভারে পাকিস্তানের পেসার শোয়েব আখতার এবং ভারতের অফস্পিনার হরভজন সিং মুখোমুখি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। ম্যাচের ৪৭ তম ওভারে আখতারের বলে হরভজন একটি ছক্কা হাঁকানোর পরে মাঠের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

দুজনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় তো হলোই, এমনকি ম্যাচ জেতার পর হরভজন সিংকে দেখা গেল আখতারের দিকে কিছু আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি করতে। তবে, সেদিনের রেষারেষি ভুল আজকাল রীতিমত বন্ধু বনে গিয়েছেন দু’জন।

  • মেজাজ হারানো ধোনি

এই ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের আসরে। সেবারের আসরটি এমনিতেও আম্পায়ারিংয়ের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে আশিষ নেহরার পাঠানো বলটি পাকিস্তানের খুররম মঞ্জুরের ব্যাটে লেগে ধোনির গ্লাভসবন্দি হয়।

কিন্তু আম্পায়ার খুররম মঞ্জুরকে নট আউট দিলে ক্যাপ্টেন কুল’ মহেন্দ্র সিং ধোনি তার মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে যে বলটি ধোনির হাতে যাওয়ার আগে মঞ্জুরের গ্লাভসে আঘাত করেছিল। এ ঘটনায় বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের ওপর বেশ চটেছিলেন ধোনি।

  • মোহাম্মদ সামির নাটকীয় এক ওভার 

২০০৪ সালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এশিয়া কাপের ম্যাচ। এই ম্যাচটি পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ সামি কখনোই ভুলতে পারবেন না। তাঁর ক্যারিয়ারের কলঙ্কিত ওভার ছিল এটি। তিনি একটি ভয়াবহ ওভার দিয়েছিলেন। ১৭ বলের একটি ওভার! যে ওভারে ওয়াইড দিয়েছিলেন সাতটি এবং নোবল ছিল চারটি!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...