কোপা আমেরিকার ফাইনাল, মেসির জন্য তৈরি ছিল মঞ্চ। এটিই হতে পারে আর্জেন্টিনার হয়ে এই জাদুকরের শেষ ফাইনাল। তাই দর্শদকরাও তাঁদের আবেগ প্রদর্শন করতে মাঠে প্রবেশ করতে প্রস্তুত। কিন্তু ম্যাচে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেশ কিছু দর্শক। যার ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি আর্জেন্টিনা বনাম কলম্বিয়ার কোপা আমেরিকা ফাইনাল।
বর্তমানে মিয়ামি হার্ড রক স্টেডিয়াম বলতে গেলে মেসির জন্য হোম গ্রাউন্ড। ইন্টার মিয়ামি দলের হয়ে খেলা মেসির ভক্তে ভরপুর এই শহর। ফুটবল এবং মেসিকে নিয়ে আবেগের শেষ নেই পুরো বিশ্বে। তবে এই ভক্তদের জন্যই ফাইনালের মঞ্চে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। সূত্র থেকে জানা যায় যে, টিকিট নেই এমন অনেক দর্শক স্টেডিয়ামের ভেতর ঢুকে পড়েছিল।
ফলে বেশ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় স্টেডিয়ামে। এর জন্য ম্যাচটি নির্দিষ্ট সময় থেকে পিছিয়ে দেয় অফিসিয়ালরা। পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে মিয়ামি পুলিশরা কাজ করতে থাকে। তাঁরা জানায় যে, বিষয়টি নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এমন অনিয়মিত আচরণের জন্য তাঁরা স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া বা গ্রেপ্তার করার কথাও বলে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। তাই এই খেলা নিয়ে দর্শকদের আবেগেরও কমতি নেই। তাই নিজের প্রিয় দল এবং খেলোয়াড়দের দেখার জন্য মাঝে মাঝে উদ্ভট উদ্ভট কাণ্ড করে দর্শকেরা। কোপা আমেরিকার ফাইনালও এমন কাণ্ড দিয়েই শুরু হয়। টিকিট ছাড়া কিছু দর্শক ঢুকে পরার ফলে অনেক দর্শক যাদের টিকিট আছে স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
যার ফলে প্রচুর বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হয়। অনেক দর্শক গেট ভেঙে বা গেটের উপর দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করে। একটি সূত্রের মতে, এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু দর্শক আহতও হয়েছে।
ফুটবল নিয়ে ভক্তদের আবেগ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে তাঁদের এই কার্যকলাপ সম্পূর্ণ অবৈধ। তাঁদের এমন কর্মকাণ্ডের ফলে ফাইনালের মত মঞ্চে নানা ধরণের বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে খেলোয়াড়দেরও মানসিক বিঘ্ন ঘটে।
এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ অফিসিয়াল প্রথমে ৩০ মিনিট এবং পরে আরও ১৫ মিনিট খেলা বিলম্ব ঘোষণা করেন। তবে ম্যাচটি নির্দিষ্ট সময় হতে প্রায় ৯০ মিনিট পরে শুরু হয়।