মিথ্যেবাদী রাখাল গল্পটা নিশ্চয়ই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা শুনে থাকবেন। অন্তত, মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত তো শুনেছেন। চতুর্থদিন দুপুরে সেই গল্পেরই যেন পুনরাবৃত্তি হল কানপুরের গ্রিন পার্কে।
আর এই গল্পের নায়ক বলি বা ট্র্যাজিক নায়ক – দু’টোই হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি এ যাবৎ কালে রিভিউ নিয়ে অধিনায়ককে ‘কনভিন্স’ করাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তবে, অধিকাংশ সময়ই তিনি সেই যাত্রায় অধিনায়ক শান্তর বিপদ ডেকে এনেছেন।
আউট তো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হত না, একবার তো রস টেলরের বিপক্ষে করা এলবিডব্লিউয়ের রিভিউতে দেখা যায় বল লেগেছে ঠিক তাঁর ব্যাটের মাঝখানে। রিভিউ নিতে গিয়ে এমন সব ব্লান্ডারই এতদিন করে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, আজকের গল্পের রাখাল বালক।
সেই রাখাল বালক কানপুরের চতুর্থ দিনে আবারও সেই রিভিউ নিতে অধিনায়ককে বলছিলেন। কারণ, তাঁর মতে হাসান মাহমুদের ডেলিভারি উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে যাওয়ার আগে রোহিত শর্মার ব্যাটে আলতো করে চুমু খেয়ে গিয়েছে।
লিটন কিংবা স্লিপে দাঁড়ানো কেউই মিরাজের এই আত্মবিশ্বাসের ওপর ভরসা রাখেননি। অধিনায়ক শান্তও নন। ঠিক ওই রাখাল বালক গল্পের গ্রামবাসীর মত। কিন্তু, সেটা না করেই তাঁরা বড় এক ভুল করে ফেললেন।
রিপ্লেতে দেখা গেল, সত্যিই বল রোহিতের ব্যাটে লেগে যায়। ধারাভাষ্যে হার্শা ভোগলে বলেন, ‘বাংলাদেশের ফিল্ডাররা সম্ভবত রোহিতের ব্যাটিং আরও উপভোগ করতে চায়।’ যদিও, চতুর্থ ওভারে ওই মিরাজই রোহিতকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। ট্র্যাজিক হিরো থেকে মিরাজ বনে যান সত্যিকারের হিরো।