আইপিএলের দামামা বেজে উঠেছে, বসে নেই দলগুলোও। নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছে তাঁরা, আর স্কোয়াডের দিক দিয়ে দারুণ অবস্থানে আছে চেন্নাই সুপার কিংস। তাঁদের স্কোয়াডে এমন তিনজন বোলার আছেন যারা মুহূর্তের মাঝে বদলে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ। বিশেষ করে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের স্লো উইকেটে ব্যাটাররা হয়তো সর্ষে ফুল দেখবেন তাঁদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে।
- নুর আহমেদ (আফগানিস্তান)
নিলামের টেবিলে কাড়াকাড়ি হয়েছে ব্যাপক, শেষমেশ দশ কোটি রুপি খরচ করে নুর আহমেদকে কিনেছিল চেন্নাই। তাই তো তাঁর সেরা পারফরম্যান্সই চাইবে তাঁরা; তিনি নিজেও অনুকূল পরিবেশে বিধ্বংসী হয়ে উঠার অপেক্ষায় আছেন। ঘরের মাঠে রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দন অশ্বিনের সঙ্গে তাঁকেও ব্যবহার করবে দলটা।
দুই অভিজ্ঞের ভীড়ে এই আফগান হতে পারেন এক্স ফ্যাক্টর। তাঁর ভান্ডারে বৈচিত্র্যের অভাব নেই, আর চিন্নাস্বামীর উইকেটে চায়নাম্যান বোলার কি করতে পারেন সেটা ব্যাখ্যা করারও প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে বড় কথা তাঁকে খুব বেশি খেলেনি ব্যাটাররা, তাই রিড করা কঠিন হবে।
- মাথিশা পাথিরানা (শ্রীলঙ্কা)
স্লিঙ্গা অ্যাকশনে সাড়া ফেলে দেয়ার কাজটা আগেই করেছিলেন মাথিশা পাথিরানা। এরপর থেকে ধারাবাহিক পারফরম করে গিয়েছেন, বিশেষ করে চেন্নাইয়ের হয়ে তিনি অপ্রতিরোধ্য। মিডল ওভারে উইকেট তোলার ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনির ট্রাম্প কার্ড এই তরুণ, আবার ডেথ ওভারেও তাঁর বিরুদ্ধে রান করা বড্ড কঠিন।
ভয়টা বেশি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের, দু’দলের শুরুটা হবে একে অপরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আর পাথিরানার প্রিয় প্রতিপক্ষ মুম্বাই। আগের দেখায় চার উইকেট নিয়ে তিনিই লিখে দিয়েছিলেন ম্যাচের ভাগ্য। এবারও কি তেমন কিছু হবে?
- আনশুল কাম্বুজ (ভারত)
সব আলোচনা যখন মাথিশা পাথিরানাকে ঘিরে, নীরবে তখন প্রস্তুত হচ্ছেন আনশুল কাম্বুজ। উদীয়মান ভেবেই তাঁকে দলে নিয়েছে চেন্নাই, তবে তিনি হয়ে উঠতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক। বলে আহামরি পেস না থাকলেও লাইনলেন্থ আর বৈচিত্র্য আছে। চেন্নাইয়ের মাঠে ঠিক এটাই প্রয়োজন।
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে কাম্বুজের ইকোনমি আটের নিচে, গড় ত্রিশেরও কম। আইপিএলে কেমন করবেন আপাতত প্রশ্ন সেটা। তবে পাথিরানার ভয়ে ভীত ব্যাটাররা এই অচেনা তরুণকে ঠিকঠাক সামলাতে না পারলে অবাক হবেন না কিন্তু।