গোটা ভারতকে স্তব্ধ করে দিতে চান প্যাট কামিন্স

কামিন্সের মতে, গ্যালারির সমর্থন খুব একতরফা হতে চলেছে কিন্তু একটি বড় গ্যালারিকে নীরব করে দেয়ার মধ্যে মানসিক শান্তি রয়েছে।

২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, ২০২৩ সালে এসে জিতেছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ আর এবার তাঁরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয়ার অপেক্ষায় আছে। সবমিলিয়ে দলটির জন্য এখন চলছে গুরুত্বপূর্ণ সময়, প্যাট কামিন্স তো বলেই দিয়েছেন এটা তাঁর ‘ক্যারিয়ার ডিফাইনিং’ বছর।

টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গেলেও সবশেষ আট ম্যাচ ধরে অপরাজিত টিম অস্ট্রেলিয়া। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান অধিনায়ক কামিন্স। সেটা অবশ্য সহজ হবে না একদমই। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে অপরাজিত আছে ভারত, তাঁদের বিপক্ষে তাই সেরাটা দিয়েই লড়তে হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

শুধু বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মা নয়, অজিদের বিরুদ্ধে থাকবে আহমেদাবাদের লক্ষাধিক দর্শকও। গ্যালারির এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও সতর্ক থাকবে ক্যাঙারুরা জানিয়েছেন কামিন্স। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ম্যাচটা হাউজফুল হতে যাচ্ছে। ১৩০০০০ মানুষ ভারতকে সমর্থন দিতে আসবে, কিন্তু তাঁদের নাড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে। আমাদের শতভাগ দিতে পারলে তাঁরা স্তব্ধ হয়ে যাবে।’

জনসমুদ্রের মাঝে খেলার অভিজ্ঞতা নতুন নয় স্টিভ স্মিথদের জন্য। ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৮০০০০ দর্শকের সামনে খেলতে হয়েছিল; এছাড়া ভারতের মাটিতে অনেক স্মরণীয় সিরিজ খেলেছে দলটি। আবার স্কোয়াডের অনেকেরই নিয়মিত আইপিএল খেলার স্মৃতি রয়েছে। সেজন্যই দুশ্চিন্তার কারণ দেখছেন না অজি ক্যাপ্টেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি গ্যালারির সমর্থন খুব একতরফা হতে চলেছে কিন্তু একটি বড় গ্যালারিকে নীরব করে দেয়ার মধ্যে মানসিক শান্তি রয়েছে। এটিই আমাদের আগামীকালের লক্ষ্য। ফাইনালে সবার চোখ থাকবে, স্টেডিয়ামে প্রচুর আওয়াজ হবে এসবে মনোযোগ হারালে চলবে না।’

দিনশেষে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এই পেসারের চাওয়া, নিজেদের সর্বস্ব যেন নিংড়ে দিতে পারেন। ফলাফল যাইহোক না কেন, কোন আক্ষেপ ছাড়াই শিরোপার শেষ লড়াই থেকে ফিরতে চান তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...