‘আমি আন্দাজ করতে পেরেছিলাম ও দারুণ কিছু করবে।’

দুই দলের কাছেই সুযোগ ছিল এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলার। এক ম্যাচ হাতে রেখেই। ভারত নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকভাবেই করতে পেরেছে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৪১ রানে। কোন ধরণের জটিল সমীকরণ ছাড়াই ভারত ফাইনালে।

তবে খুব সহজেই ভারত জয় পেয়েছে, তেমনটি বলার সুযোগ নেই বিন্দুমাত্র। ভারতের পথের কাটার হয়ে সামনে এসেছিলেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে। তরুণ এই ক্রিকেটারকে লঙ্কান ক্রিকেটা পাড়ায়, ‘স্পেশাল ট্যালেন্ট’ হিসেবেই গন্য করা হয়। সেই বিশেষ প্রতিভার ঝলকই দেখলো রোহিত শর্মার দল।

প্রায় একাহাতে তাবড় সব খেলোয়াড়দের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্যে লড়ে গেছেন ওয়েল্লালাগে। আর দারুণ সেই পারফরমেন্সের স্বীকৃতি হিসেবেই ম্যাচ হেরেও ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়েই ওয়েল্লালাগে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারত দলকে।

ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমেই ভারত দলকে অভিনন্দন জানাতে চাই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ম্যাচটি হেরে গেছি। তবে আমাদের কাছে এখনও একটি সুযোগ আছে ফাইনালে যাওয়ার।’ একেবারেই তরুণ ক্রিকেটার ওয়েল্লেলাগে। তবুও অল্পতে সন্তুষ্টি নেই তার। তিনি বরং সামনের দিকেই অগ্রসর হতে চান। ছেলেবেলা থেকেই তিনি নিজের লক্ষ্য রেখেছিলেন পরিষ্কার।

দু’দলের বোলাররাই বেশ দারুণ বল করেছেন। দুই দলই হারিয়েছে নিজেদের সবক’টি উইকেট। তবে দারুণ শুরুর পরও হোচট খেয়েছে ভারত। যদিও সে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করতে চান ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর পুরষ্কারটি গেছে তার ঝুলিতে। এরপরই তিনি বলেন, ‘এটা বেশ ভাল ম্যাচ ছিল।আমাদের খেলার অনেকগুলি দিককে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই এমন পিচে খেলে দেখতে চাই যে আমরা আসলে কি অর্জন করতে পারি।’

কলোম্বোর এই মাঠেই আগের দিন ৩৫৬ রান করেছিল ভারত। তবে দিন বদলের সাথে পিচ বদল হয়। আর ২১৩ রান সংগ্রহ করতেও ঘাম ছুটে যায় ভারতের। নিশ্চিতভাবেই অনুমিত ছিল উইকেট খানিকটা পিচ সহায়ক হবে। তাইতো ভারত নিজেদের একাদশে অতিরিক্ত একজন স্পিনারকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তবে উইকেট বেশ অবাক করেছে দাসুন শানাকাকে।

লঙ্কান অধিনায়ক নাকি ভেবেছিলেন পিচ হবে ব্যাটিং সহায়ক। ম্যাচ শেষ তিনি সে কথাই জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন উইকেটের প্রত্যাশা করিনি। তবে ১০ ওভারের পর আমরা স্পিনারদের সহয়তায় দারুণভাবে ম্যাচে ফিরি।’

শ্রীলঙ্কার এই অধিনায়কের কণ্ঠেও প্রশংসা ছিল ওয়েল্লালাগের জন্যে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার ম্যাচের পরই আমি আন্দাজ করতে পেরেছিলাম ও দারুণ কিছু করবে।’ শ্রীলঙ্কার ফাইনালে যাওয়ার পথটা একটু সংকীর্ণ হয়ে গেল। তবে ভারতের বিপক্ষে তাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দুনিথ ওয়েল্লালাগে।

বল হাতে পাঁচ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতেও লড়ে গেছেন তিনি। শেষ অবধি অপরাজিত থেকেছেন ৪২ রানে। এমন একজন তরুণ খেলোয়াড় দলকে নিঃসন্দেহে ভরসা দেয়, ভারসাম্য জোগায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link