বৃষ্টির আগে ‘জয়োৎসব’

বাংলাদেশ আগের দিনের ধ্বস সামলে ২৯৮ রান করে ফেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার স্বস্তিটা একটু কমেছে। তারপর দিনের শুরুতেই পার্ট টাইম স্পিনার শান্ত আঘাত হানতে যাচ্ছিলেন। যদিও রিভিও করে ফল পাওয়া যায়নি বলে উইকেটশূন্যই থেকেছে বাংলাদেশ।

আগের দু দিনও আলোক স্বল্পতা ‍ছিলো। আজ সাথে যোগ হলো বৃষ্টি। ফলে দিনের খেলা শেষই হতে পারলো না। জয়ে জয়াকার বাংলাদেশ ইনিংসের পর দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বেশিদূর আর এগোতে পারলো না।

দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা বিনা উইকেটে ৬ রান তুলতে পারে। এর আগে বাংলাদেশ ২৯৮ রানে অলআউট হয। আর প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিলো ৩৬৭ রান। ফলে ৭৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশ আগের দিনের ধ্বস সামলে ২৯৮ রান করে ফেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার স্বস্তিটা একটু কমেছে। তারপর দিনের শুরুতেই পার্ট টাইম স্পিনার শান্ত আঘাত হানতে যাচ্ছিলেন। যদিও রিভিও করে ফল পাওয়া যায়নি বলে উইকেটশূন্যই থেকেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ইনিংসটা ছিলো জয়-ময়। আগের দিনই একক প্রতিরোধ গড়ে উইকেটে ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া কেউ তাকে আগের দিন সমর্থন দিতে পারেননি। সহজে ফিরে এসেছিলেন সাদমান, মুশফিক, মুমিনুলরা। শেষ পর্যন্ত দিন শেষ করেছিলেন নাইটওয়াচম্যান তাসকিনকে নিয়ে।

গতকাল সকালেই তাসকিন আগের দিনের স্কোরেই ফিরে যান। এরপর জয়ের সাথে দারুন একটা জুটি করেন লিটন দাস। যদিও লিটনের ইনিংসে বেশ ভাগ্য পাশে ছিলো। তারপরও আউট হওয়ার আগে ৯২ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। জয়ের সাথে ৮২ রানের জুটি করেন।

জয় এরপরও দারুন চালিয়েছেন। ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে কার্যকর দুটো জুটি করেন। রাব্বি ২২ রান করে একেবারেই নিজের দোষে রান আউট হয়ে ফেরেন। আর মিরাজ ২৯ রান করেন।

এর মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি করে ফেলেন। মজার ব্যাপার হলো সেঞ্চুরি করতে তিনি ২৬৯ বল খেলেন। ফলে মনেই হচ্ছিল, জয় মানেই এমন মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। কিন্তু যখন নবম উইকেটের পতন হয়ে গেলো, তখন জয় আবার আরেক চেহারায় এলেন।

একের পর এক চার-ছক্কায় টি-টোয়েন্টি বানিয়ে ফেললেন খেলাকে। শেষ পর্যন্ত শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে গেলেন। অল্পের জন্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘ক্যারি দ্য ব্যাট’ করতে পারলেন না। যখন আউট হলেন, জয়ের নামের পাশে তখন ৩২৬ বলে ১৩৭ রান। দূরন্ত এই ইনিংসে ১৫টি চারের পাশাপাশি দুটি ছক্কাও মেরেছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৬৭ এবং ৬/০

বাংলাদেশ: ১১৫.৫ ওভারে ২৯৮/১০ (জয় ১৩৭, লিটন ৪১, শান্ত ৩৮, মিরাজ ২৯, রাব্বি ২২; হারমার ৪/১০৩, উইলিয়ামস ৩/৫৪)।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...